পূর্ব কলকাতা
অভাব সমন্বয়ের
ঠাঁইহীন চাকা
ঞ্চাশ পার হয়েছে। বেড়েছে আবাস। তৈরি হয়েছে শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, রেস্তোরাঁ। বেড়েছে গাড়ির সংখ্যাও। কিন্তু অভিযোগ, এখনও বিধাননগরের পার্কিং ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং নগরোন্নয়ন দফতরের দাবি, পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে। পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থাও ঢেলে সাজা হচ্ছে।
দ্রুত বদলে যাচ্ছে বিধাননগর উপনগরী। তথ্যপ্রযুক্তি তালুকের পাশাপাশি ব্যাঙ্ক, নানা প্রশিক্ষণ সংস্থা, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন ক্ষেত্র, মাল্টিপ্লেক্স তৈরি হয়েছে। বাসিন্দাদের গাড়ির ব্যবহার বেড়েছে। বেড়েছে কর্মসূত্রে গাড়ির যাতায়াতও। কিন্তু পর্যান্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হয়নি বলে বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ।
বিধাননগরের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা কী রকম?
প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৭টি জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের কাছে রয়েছে অটো, রিকশা স্ট্যান্ড। রয়েছে একাধিক নো-পার্কিং জোনও। সম্প্রতি চালু হয়েছে সিগন্যাল ব্যবস্থা। কিন্তু অভিযোগ, বিধাননগরের পার্কিং ব্যবস্থা গোলকধাঁধার মতো। যেমন, বরাহনগরের বাসিন্দা রাজীব রায় বলেন, “কর্মসূত্রে রোজ সল্টলেকের ২ নম্বর ওয়ার্ডে যাই। পিএনবি মোড়ের কিছুটা পরে গাড়ি রেখেছিলাম। পরে জানলাম সেটি নো-পার্কিং এলাকা। কিন্তু কোথায় গাড়ি রাখব, তা জানতে পারলাম না।” ওই মোড়ের কাছে একটি বহুতলের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, গাড়ি কোথায় রাখা হবে, তা কেউ জানাচ্ছেন না।

৫ নম্বর সেক্টর
এ দিকে ব্লকের ভিতরে বেশি গাড়ি পার্ক করার অভিযোগও উঠেছে। বেশ কয়েকটি ব্লকে সরকারি-বেসরকারি স্কুলের সামনে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্লকের মধ্যে এত গাড়ি থাকায় সমস্যা বাড়ছে। আবার বাড়ি ভাড়া নিয়ে চালু হওয়া বেসরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসা গাড়ির সংখ্যাও কম নয়। সেগুলিও নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
অফিসপাড়া কিংবা জনবহুল এলাকাতেও সমস্যার ছবি একই। যেমন, ইজেডসিসি-র মোড়ে দু’টি হাসপাতাল, শপিং মল, রেস্তোরাঁ রয়েছে। এটি নো-পার্কিং এলাকা হলেও এখানে গাড়ি পার্কিং থাকে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। ট্রাফিক পুলিশ কয়েক বার ব্যবস্থা নিলেও কয়েক দিন পরে আবার যে-কে-সেই। আরও কয়েকটি জায়গাও নো-পার্কিং এলাকায় গাড়ি দাঁড়ানোর অভিযোগ এসেছে।
পাশাপাশি নানা আইল্যান্ডের কাছে অটো, রিকশা, এমনকী শাট্ল-এর স্ট্যান্ডের জন্য যানজট, দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি এলাকায় ইতিমধ্যেই নো-পার্কিং করা হয়েছে। গাড়ি দাঁড়ালে ফাইনও নেওয়া হচ্ছে।
এইচডি ব্লক কোয়ালিটি
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, একাধিক গাড়ি থাকলে গ্যারাজে রাখা যায় না। ফলে দাবি উঠেছে, পার্কোম্যাট তৈরির। যেখানে অনেক গাড়ি রাখার ব্যবস্থা হবে। বাসিন্দাদের সংগঠন বিধাননগর (সল্টলেক) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, “শুধু কয়েকটি পার্কিং প্লট ঠিক করে দায় এড়ানোর চেষ্টা চলছে। অটো, রিকশা, শাট্ল-এর ক্ষেত্রে কী হবে? আদতে সরকারি দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয় নেই। পরিকল্পনার প্রয়োজন। বাসিন্দাদেরও মতামত নেওয়া দরকার।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই সমস্যা নিয়ে নগরোন্নয়ন, বিধাননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক দফতর এবং পুর প্রশাসনের মধ্যে নিয়মিত কোনও বৈঠকই হয় না। ফলে সুসংহত কোনও পরিকল্পনা হয়নি। ট্রাফিক দফতরের এক কর্তার অবশ্য দাবি, ট্রাফিক সংক্রান্ত পরিকল্পনা পুরসভাকে জানানো হয়েছে। বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ অশেষ মুখোপাধ্যায়ের কথায়: “পুলিশের ট্রাফিক দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেই পার্কিং লটগুলি ঠিক করা হয়। পার্কিংয়ের সমস্যা নিয়ে আমাদের আলোচনায় রয়েছে।”

হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালের কাছে
সমস্যার কথা স্বীকার করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিধাননগরে পার্কিংয়ের সমস্যা নিয়ে সরকার ওয়াকিবহাল। আলোচনাও চলছে। পাঁচ নম্বর সেক্টরে পার্কোম্যাট করার পরিকল্পনা হয়েছে। মূল সল্টলেকের ক্ষেত্রে সমস্যা খতিয়ে দেখা হবে।” প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই সমস্যা নিয়ে নগরোন্নয়ন, বিধাননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক দফতর এবং পুর প্রশাসনের মধ্যে নিয়মিত কোনও বৈঠকই হয় না। ফলে সুসংহত কোনও পরিকল্পনা হয়নি। ট্রাফিক দফতরের এক কর্তার অবশ্য দাবি, ট্রাফিক সংক্রান্ত পরিকল্পনা পুরসভাকে জানানো হয়েছে। বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ অশেষ মুখোপাধ্যায়ের কথায়: “পুলিশের ট্রাফিক দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেই পার্কিং লটগুলি ঠিক করা হয়। পার্কিংয়ের সমস্যা নিয়ে আমাদের আলোচনায় রয়েছে।”
সমস্যার কথা স্বীকার করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিধাননগরে পার্কিংয়ের সমস্যা নিয়ে সরকার ওয়াকিবহাল। আলোচনাও চলছে। পাঁচ নম্বর সেক্টরে পার্কোম্যাট করার পরিকল্পনা হয়েছে। মূল সল্টলেকের ক্ষেত্রে সমস্যা খতিয়ে দেখা হবে।”

ছবি: শৌভিক দে

সচেতনতা সফর
সম্প্রতি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে সূচনা হল কলকাতা থেকে কাঠমান্ডু গাড়িতে ‘সচেতনতা-সফর’-এর। কলকাতায় নেপালের কনসাল জেনারেল চন্দ্রকুমার ঘিমিরে এই সফরের সূচনা করেন। পরিবেশ সচেতনতার জন্য আয়োজিত এই সফরে সংগঠনের পক্ষ থেকে যোগদানকারী তিন জন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। সফরের উদ্দেশ্য ভুবন উষ্ণায়ন, জল সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক শক্তি, হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা। ছিলেন ডেপুটি কনসাল জেনারেল জিভরাজ ঘিমিরে ও নেপালি কনসাল রামেশ্বর পড়াল।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.