বন্ধ সরকারি বাস |
দুর্ভোগের যাত্রা |
শ্রীজীব মুখোপাধ্যায় |
যাত্রী আছে। অভিযোগ, নেই সরকারি বাস। ফলে বটানিক্যাল গার্ডেন ও দানেশ শেখ লেন এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা বেসরকারি বাস বা ট্যাক্সি। অভিযোগ, এই সব এলাকা থেকে বেসরকারি বাসে ধর্মতলা আসতে অনেক সময় লাগে। ফলে প্রতি দিন দুর্ভোগে পড়তে হয়। প্রশাসনকে বার বার জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি।
বাসিন্দারা জানান,এ সব অঞ্চলে জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। রয়েছে বেসু এবং বটানিক্যাল গার্ডেন। |
|
কিন্তু কলকাতা যাওয়ার পর্যাপ্ত সরকারি বাস নেই। বটানিক্যাল গার্ডেন থেকে এখন আর কোনও সরকারি বাস চলে না। ফলে যাত্রীদের প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
যদিও বি গার্ডেন থেকে ধর্মতলা রুটে ৫৫ নম্বর বাস এবং ৬ নম্বর রুটের মিনি চলে। বাসিন্দারা জানান, এ দু’টি বেসরকারি বাস হাওড়া স্টেশন হয়ে যায়। ফলে ধর্মতলা যেতে অনেক সময় লাগে। বিশেষ করে অফিস টাইমে কলকাতা পৌঁছতে অনেক সময় লাগে।
কিন্তু সরকারি বাসগুলি বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে যেত। ফলে অনেক কম সময়ে গন্তব্যে
পৌঁছনো যেত।
বি-গার্ডেন যাত্রী সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুষেনজিৎ দাশের কথায়: “বটানিক্যাল গার্ডেন থেকে সরকারি বাসগুলি দীর্ঘ দিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে নিত্যযাত্রীদের খুব দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বাসগুলি আবার চালু করার জন্য দীর্ঘ দিন আবেদন জানাচ্ছি।”
অভিযোগ, সিটিসি-র সি-১ দানেশ শেখ লেন থেকে পাটুলি পর্যন্ত চলত। এক বছরেরও বেশি হল বাসটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সিটিসি বাসের এক চালক গোপাল সর্দার বলেন, “সি-১ বছরখানেক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখান থেকে সিটিসি-র মাত্র ৪টি বাস চলে। একটি বাস শিয়ালদহ যায়। বাকি তিনটে ধর্মতলা পর্যন্ত যায়।” বাসিন্দা দেবাশিস ভাদুড়ির কথায়: “প্রশাসনকে বার বার জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কিছুই হয়নি। মানুষের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।” |
|
এ রুটে কি বেসরকারি বাস চালানোর আবেদন এসেছে?
হাওড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি বাস দীর্ঘ দিন বন্ধ। যাত্রীদের অসুবিধার কথা জানি। এ রুটে বেসকারি বাস চালানোর জন্য এখনও কেউ আবেদন করেননি। আবেদন এলে বিবেচনা করা হবে।” সিটিসি-র চেয়ারম্যান শান্তিলাল জৈন বলেন, “বিগত দু’-তিন বছরে অনেক রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুরনো রুটগুলি আবার চালু করার চেষ্টা করব।” বাস বন্ধের কথা স্বীকার করে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “আমরা চেষ্টা করব যাতে আবার বাসরুটগুলি চালু করা যায়।”
|
কোন বাস বন্ধ |
• সি-৬বটানিক্যাল গার্ডেন-শ্যামবাজার। ২ বছর বন্ধ।
• সি-১দানেশ শেখ লেন-পাটুলি। এক বছর বন্ধ।
• সি-১০দানেশ শেখ লেন-সিঁথির মোড়। এক বছর বন্ধ।
• এল-১৬বটানিক্যাল গার্ডেন-ট্যাংরা। ১৫ বছর বন্ধ।
• জিএল-৬বটানিক্যাল গার্ডেন-গড়িয়া। ৩ বছর বন্ধ। |
|
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার |
|