|
|
|
|
লাচুংয়ের কাছে ধসে আটক বহু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আচমকা ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর সিকিমের পাহাড়ি এলাকায় আটকে পড়েছে একাধিক পর্যটক দল। শুক্রবার বিকেলে চুংথাং ও লাচুংয়ের মাঝে টুং এলাকার বব গ্রামের কাছে ধস নামে। সিকিম পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়েই ধস সরিয়ে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ খবর পেয়েছে, দু’দিক মিলিয়ে অন্তত ৬০টি ছোট গাড়ি ধসের মুখে আটকে পড়েছে। আরোহীদের অধিকাংশই দেশ-বিদেশের পর্যটক। যাঁদের মধ্যে কলকাতার বহু পর্যটক রয়েছেন। তবে পর্যটকদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে পুলিশের দাবি।
বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। সেনাবাহিনীর জওয়ানেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পর্যটকদের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে লাচুং প্রায় ২০ কিলোমিটার, অন্য দিকে গ্যাংটক প্রায় ৯০ কিলোমিটার। সীমান্ত সড়ক বাহিনীর জওয়ানরা রাস্তা ধস মুক্ত করতে কাজে নেমেছেন। সেনাবাহিনী ওই পর্যটকদের এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ও সেনাছাউনিতে রাখার ব্যবস্থা করেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিন ওই এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সীমান্ত সড়ক বাহিনীর মুখ্য বাস্তুকার এস এস পড়োয়াল বলেন, “আনুমানিক পাঁচশো পর্যটক রয়েছেন। বৃষ্টির জন্য ধস সারানোর কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে। তবে সকালের মধ্যেই রাস্তা পরিষ্কার করে ফেলা যাবে।”
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই খবর শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাজ্য সরকারের তরফে সিকিম সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। উত্তর সিকিমের এক সরকারি কর্তা জানান, ওই এলাকায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হওয়ায় পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের গাড়ি আটকে পড়লেও কোনও ক্ষতির খবর নেই। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “টানা দু’দিন ধরে বৃষ্টির ফলে ধস নেমেছে। পর্যটকেরা আটকে পড়েছেন। ধসের ফলে একটি দোকানের ক্ষতি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পর্যটকেরা নিরাপদেই রয়েছেন।”
সিকিম ও দার্জিলিংয়ের ট্যুর অপারেটরদের কয়েকজন জানান, দোল ও গুড ফ্রাইডের ছুটির কারণে এখন পর্যটকদের ভিড় বেশি। বৃষ্টির মধ্যেও বিকেল ৪টে পর্যন্ত পর্যটকদের গাড়ি স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করেছে। এর পরেই পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে নামতে শুরু করে। মুহূর্তে সব গাড়ি থমকে যায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই একের পর এক বড় মাপের পাথরের চাঁই পড়ে রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। একটি ট্যুর অপারেটর সংস্থার কর্ণধার সম্রাট সান্যাল বলেন, “দু’দিন ধরে বৃষ্টি থাকলেও যাতায়াতে অসুবিধে হয়নি। এদিনও বিকেল ৪টে পর্যন্ত সমস্যা হয়নি। তার পরেই ধস নেমেছে। তবে এলাকাটি সেনাবাহিনীর আওতায় থাকায় সঙ্গে সঙ্গেই ধস সরানো ও উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।” |
|
|
|
|
|