|
|
|
|
পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার অপহৃত শিশুকন্যা, আটক ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
মুক্তিপণের জন্য সাড়ে তিন বছরের শিশু কন্যাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। বরাক উপত্যকায় এমন ঘটনা স্মরণকালে কখনও ঘটেনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশ ও স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে শিশুটিকে।
করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রদীপ পূজারি জানিয়েছেন, এংলারবাজারের দেবেশ্বর রায়ের সাড়ে তিন বছরের মেয়ে বেবি প্রতিবেশী জিতেন রায়ের বাড়িতে গিয়েছিল। আচমকা তিন যুবক গাড়ি থামিয়ে ঢুকে পড়ে ওই বাড়িতে। বাড়ির লোকেদের সামনে থেকেই তারা তুলে নিয়ে যায় বেবিকে। পুলিশ দ্রুত অভিযানে নেমে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটিকে উদ্ধার করে। ওই সূত্র ধরেই একের পর এক তুলে আনা হয় পাঁচ জনকে। তাদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |
|
এই সেই বেবি। —নিজস্ব চিত্র |
পূজারির দাবি, পুলিশ চার দিক থেকে অভিযানে নামায় অপহরণকারীরা বেবিকে নিয়ে আর এগোবার সাহস পায়নি। তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে বাঁচে। কাল বিকেলে এক কাঠুরিয়া তাকে উদ্ধার করে। কাঠুরিয়া পুলিশকে জানান, জঙ্গলে কাঠ কাটতে এসে অনেকক্ষণ ধরেই শিশুর কান্না তাঁর কানে আসছিল। প্রথমে তিনি ধরে নেন, বাচ্চা নিয়ে কোনও মা হয়তো কাঠ কুড়োতে এসেছেন। কিন্তু কান্না থামছিল না। পরে কান্নার সূত্র ধরে গিয়ে দেখেন দেখেন একা একাই কেঁদে চলেছে শিশুটি। কার সঙ্গে এসেছে, কোথা থেকে এসেছে, কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারছিল না সে। তাই তিনি তাকে কোলে তুলে নিয়ে বেরিয়ে আসছিলেন জঙ্গল থেকে। তখনই পুলিশ দলের সঙ্গে দেখা। পুজারি স্বীকার করেন, দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও তারা অপহরণকারীদের শাগরেদ মাত্র। মূল তিন অপহরণকারীকে পুলিশ এর মধ্যেই চিহ্নিত করেছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে। এ দিকে, বেবির জেঠিমা, এআইইউডিএফ নেত্রী বিজয়া রায় গত মাসে এলাকার পঞ্চায়েত সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি তাঁর বাড়ির শিশুকন্যা অপহরণকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছেন। কংগ্রেস নেত্রী সবিতা রায়ের পুত্র টিংকুকে অভিযুক্ত করে পুলিশে তিনি অভিযোগও দায়ের করেছেন। পূজারি অবশ্য এমন অনুমান শুরুতেই উড়িয়ে দেন। বদরপুরের সার্কল ইন্সপেক্টর এস কে চৌহানের কথায়, এই ঘটনায় টিংকুকে গ্রেফতার করা হলেও এ রাজনৈতিক মামলা নয়। শুধুই মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে বেবিকে অপহরণ করা হয়। টিংকু তা স্বীকারও করেছে। |
|
|
|
|
|