সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী কালচিনির নির্দল বিধায়ক উইলসন চম্পামারি পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করতে গিয়ে প্রতি পদে বাসিন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। রবিবার মোর্চার ডুয়ার্স শাখার তরফে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রোহিত থাপা ওই হুঁশিয়ারি দেন। তাঁর অভিযোগ, “মোর্চার সমর্থনে বিধায়ক হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে উইলসন বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বাসিন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে তাঁকে। দেখতে চাই, উনি কী ভাবে প্রচার করেন?” মোর্চার ডুয়ার্স শাখার তরফে রোহিত থাপা ও তাঁর সহযোগীরা বলেন, “আমরা উইলসন চম্পামারিকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। যদি সাহস থাকে তা হলে উনি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতে দেখান।” যদিও মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি দাবি করেছেন, ভোটের প্রচারে কাউকে বাধা দেওয়া হবে বলে তাঁদের কোনও নেতা হুমকি দেননি। তিনি বলেন, “উইলসন আমাদের দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের জন্যই জিতেছিলেন। ওঁর জনভিত্তি নেই। কাউকে কিছু করতে হবে না, ওঁকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করবেন।”
এ দিন সকালে মোর্চার তরফে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কালচিনির বিধায়ককে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে মিছিল করে তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। খবর পেয়েই বিধায়কের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করে প্রশাসন। পাশাপাশি, কলকাতায় থাকা কালচিনির বিধায়কের জন্য দেহরক্ষীর ব্যবস্থা করে পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “উইলসন চম্পামারির বাড়ির সামনে মিছিল করার প্রস্তুতি ছিল। পশ্চিম সাতালি এলাকায় তাঁর বাড়ির কাছে পুলিশ মোতায়েন হয়। তবে মোর্চা মিছিল করেনি।” শনিবার উইলসন কলকাতায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে ওই দলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এ দিন তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তরাই-ডুয়ার্স উন্নয়ন পর্ষদ গড়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। উনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। সে জন্য আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীকে আমার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করি। উনি তার ব্যবস্থা করেছেন। মঙ্গলবার কালচিনি ফিরব।” |