এক সপ্তাহ আগেই টোল নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল ডানকুনি টোল-প্লাজায়। পুরনো ১৫৫ জন শ্রমিককে পুনর্বহাল করে রবিবার থেকে খুলে গেল পালশিট টোল-প্লাজাও। তবে এ দিন থেকে বাড়ল টোল-ফি।
ডানকুনি, পালশিট এবং বিদ্যাসাগর সেতু তিনটি টোল-প্লাজাতেই টোল আদায়ের বরাত পেয়েছে মুম্বইয়ের একটি ঠিকাদার সংস্থা। ওই সংস্থার সিইও মণীশ রাস্তোগি জানিয়েছেন, বিভিন্ন কারিগরি সমস্যার জন্য তাঁরা ডানকুনির সঙ্গে পালসিট টোল-প্লাজা চালু
করতে পারেননি। ‘টোল’-এর নতুন হারের তালিকা তৈরি করতেও তাঁদের সময় লেগেছে।
ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ছোট গাড়ির জন্য ৩৫ টাকা ও বাণিজ্যিক গাড়ির জন্য ৬০ টাকা টোল-ফি বরাদ্দ ছিল। তা বেড়ে হল যথাক্রমে ৪০ ও ৯৫ টাকা। লরি ও বাসের জন্য টোল-ফি দিতে হত যথাক্রমে ১২৫ ও ১৮৫ টাকা। এ বার তা বেড়ে হয়েছে ১৫৫ টাকা ও ২৩৫ টাকা। তিন চাকার পণ্যবাহী গাড়ির জন্য আগে ১৫৫ টাকা দিতে হত। এ বার থেকে সেই জায়গায় ২৩৫ টাকা দিতে হবে। সংস্থার সিইও জানান, তিনটি টোল-প্লাজাতেই একই হারে টোল নেওয়া হচ্ছে। |
পালশিট টোল প্লাজায় ফের শুরু হল শুল্ক আদায়। —নিজস্ব চিত্র |
গত বছর ৬ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি জারি করে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্তে ডানকুনি ও পালশিটের টোল-প্লাজা থেকে টোল আদায় বন্ধ করে দেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। পর দিন থেকে ওই নির্দেশ কার্যকর হয়। দু’টি প্লাজার টোল আদায়ের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থার পরিবর্তে বরাত দেওয়া হয় মুম্বইয়ের একটি সংস্থাকে। বিজ্ঞপ্তি জারির ফলে শ্রমিকেরা কাজ হারান। পুনর্বহাল এবং টোল আদায় ফের চালুর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। নেতৃত্ব দেয় তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। পাঁচ মাসেরও বেশি টোল আদায় বন্ধ থাকায় বহু কোটি টাকা রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে।
এ দিন কাজে যোগ দিয়ে খুশি পালশিট টোল-প্লাজার শ্রমিকেরা। প্লাজার আইএনটিটিইউস-র সভাপতি তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “প্লাজা খুলেছে, আমি খুশি। সংবাদমাধ্যমের একাংশ প্লাজা বন্ধের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছিল। আমরা টোল-প্লাজা বন্ধ করতে বলিনি। শুধু আগের শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছিলাম।” শ্যামসুন্দর দত্ত নামে এক শ্রমিক বলেন, “এত দিন প্লাজা বন্ধ ছিল। তার জন্য বকেয়া আমরা পাব না। তবু প্লাজা খোলায় এবং নতুন সংস্থা সব কর্মীকেই কাজে নেওয়ায় আমরা খুশি।” |