পঞ্চায়েত ভোট যখনই হোক না কেন, তাঁরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বলে রবিবার জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
দু’দফায় পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাত চলছে। এই পরিস্থিতিতে মামলা-মোকদ্দমা হয়ে ভোট বানচাল হতে পারে বলে বিভিন্ন শিবিরে গুঞ্জন। তৃণমূল আসলে ভোট বানচাল করে দিতেই চাইছে বলে ইতিমধ্যে বিরোধী দলগুলি সরব হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দিতে এ দিন ‘আসানসোল শিল্পাঞ্চল পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে’ মুখ খোলেন সুব্রতবাবু। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার ভোটের দিন জানিয়ে দিয়েছে। তবে কোথাও কোথাও আলোচনা শুরু হয়েছে, তখন নাকি ভোট হবে না। আমরা বলছি, সংসদীয় গণতন্ত্রে আজ, কাল, পরশু ভোট হবেই। যে দিনই ভোট হোক, আমরা লড়াই করার জন্য প্রস্তুত।” বস্তুত, তারা যে প্রস্তুত তা বোঝাতে এ দিন থেকেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা শুরু করে দিল তৃণমূল। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৪৮টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মহিলা থানা ও মহিলা আদালতের অনুকরণে জেলার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সমস্ত আসনেই মহিলা প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে।” দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩টি আসনেই তৃণমূল প্রাথী মহিলা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে এ দিনই যুব তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠক করেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। পরে শুভেন্দু বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম-মুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নামব আমরা! পঞ্চায়েতে জিতে দল যাতে উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে পারে এবং দলের সঙ্গে যুব সংগঠনের ভাল সমন্বয় থাকে, সে দিকে নজর রাখতে বলেছি।”
যুব তৃণমূলের এক নেতার বক্তব্য, “তৃণমূলের জনপ্রিয়তা কমছে বলে অপপ্রচার চলছে। আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে, জনপ্রিয়তা অটুট রয়েছে।” এর জন্য তাঁরা তুলে ধরতে চান তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের ভোটপ্রাপ্তির কথাও। তুলে ধরতে চান হলদিয়া পুরসভায় হারলেও গত বারের তুলনায় ভোট বেশি পাওয়ার তথ্যও। |
স্থানীয় থেকে আন্তর্জাতিক সব ক্ষেত্রেই নিজেদের পৃথক অস্তিত্ব বজায় রাখল এসইউসি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রশ্নে শুক্রবার বিধানসভায় বামেদের আনা মুলতবি প্রস্তাবে ভোট দেননি দলের বিধায়ক তরুণ নস্কর। তাঁর বক্তব্য, ৩৪ বছরের বাম জমানায় আইনশৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। তৃণমূল সরকার তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে। আবার শনিবার রাজ্য ফ্রন্টের ডাকা উগো চাভেসের স্মরণসভায় আমন্ত্রণ পেয়েও যায়নিন এসইউসি। রবিবার তারা স্টুডেন্টস হলে চাভেসের স্মরণসভা করেছে। তবে দলের নামে নয়, অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মঞ্চ’। মূল বক্তা ছিলেন এসইউসি-র শীর্ষ নেতা মানিক মুখোপাধ্যায়। |