সীমান্ত এলাকার তরুণদের এবার থেকে সীমান্ত প্রহরার কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল বিএসএফ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পথকে সুরক্ষিত করতেই এই পদক্ষেপ। শনিবার দৌলতপুর ও শোভাপুর সীমান্তের ২০ জন তরুণের হাতে লাঠি, পোষাক-সহ যাবতীয় সামগ্রী তুলে দিলেন বিএসএফের কর্তারা। বিএসএফের ডিআইজি অমরজিৎ সিংহ বলেন, “দৌলতপুর, শোভাপুর থেকে খাণ্ডোয়া পর্যন্ত সীমান্ত পথে এক সময় গরু, ফেনসিডিল, ও জাল নোট পাচারের ঘাঁটি ছিল। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির গরিব ও পিছিয়ে পড়া তরুণদের সামান্য পয়সার লোভ দেখিয়ে পাচারের কাজে লাগায় চোরাকারবারীরা।” তিনি আরও বলেন, “তরুণদের সামনে জীবন ধারণের সুবিধা না থাকায় ক্যারিয়ারের কাজে লাগানো হয় তাদের। গত ৬ মাস ধরে এলাকার পরিস্থিতির সমীক্ষার পর সীমান্ত প্রহরার কাজে স্থানীয় তরুণদের নিয়ে গ্রাম সুরক্ষা কমিটি গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ৫০ জন মহিলা সহ ৬০০ জনকে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত।” |
স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে যাদের চারিত্রিক সততা ও নূন্যতম যোগ্যতা রয়েছে তাদেরই বিএসএফ জওয়ান হিসেবে নিয়োগ করার লক্ষ্যে শারীরিক ও মানসিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জনকে সরাসরি কর্মরত বিএসএফ জওয়ানদের সহযোগী হিসেবে সীমান্ত প্রহরার কাজে লাগানো হল শনিবার থেকে। ২০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডিং অফিসার অরবিন্দ ঘিরডিয়াল বলেন, “সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ জওয়ানদের শূন্য পদগুলি পূরণ করার লক্ষ্যেই স্থানীয় তরুণদের তৈরি করা হচ্ছে। এমনকি অনেক মহিলাও প্রশিক্ষণ নিতে এগিয়ে এসেছেন। আগে বিএসএফে মহিলা না নেওয়া হলেও বর্তমানে ৫ শতাংশ মহিলা নিয়েগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বছর খানেক পরেই তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হবে।” অরবিন্দবাবু আরও জানান, এর আগে গ্রাম সুরক্ষা কমিটি গড়া হলেও তাকে পরিকল্পনা অনুসারে কাজে লাগানো যায়নি। সীমান্ত প্রহরায় প্রথমবার স্থানীয় তরুণদের কাজে লাগানো হল। এই প্রক্রিয়া সফল হলে পরে সমস্ত সীমান্ত এলাকাতেই স্থানীয়দের নিয়োগের বিষয়ে ভেবে দেখা হবে। দৌলতপুরের জিয়াউর, রহিম অথবা শোভাপুরের আব্দুর রহমান, মহম্মদ মহিদুর ও ইন্দ্রজিৎ মণ্ডলদের নিয়ে গড়া গ্রাম সুরক্ষা কমিটির সকলেই মনে করেন, সীমান্ত এলাকায় তরুণদের অর্ন্তভুক্তিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। পাচারে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা কমবে। |