|
|
|
|
সংসদের নির্দেশিকা |
শিক্ষক বদলি স্থগিত প্রাথমিকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া শুরু করেও মাঝপথে তা বন্ধ করে দিল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বদলির চিঠি স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিল। তার উপরেও স্থগিতাদেশ জারি করেছে সংসদ। অর্থাৎ আপাতত শিক্ষকদের আর বদলি হচ্ছে না।
জেলার প্রাথমিক স্কুলে বদলিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি নানা অভিযোগ আসছিল। অভিযোগ, একটি চক্র টাকার বিনিময়ে শিক্ষকদের সুবিধে মতো জায়গায় বদলির জন্য তদ্বির করছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হবে আশঙ্কায় বদলি প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। যদিও সংসদ সভাপতি স্বপন মুর্ম্মু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, “৩১ মার্চ টেট-এর পরীক্ষা হবে। সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করতে সংসদের সব কর্মী ও আধিকারিকদের অতি সক্রিয় হতে হবে। সেক্ষেত্রে বদলি প্রক্রিয়া চালানো কঠিন। এই কারণেই তা স্থগিত রাখা হয়েছে।” টাকা নিয়ে বদলির অভিযোগটি একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন সংসদ সভাপতি। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলেই তদন্ত করা হবে।”
মার্চ মাস শেষ হলেই শিক্ষার অধিকার আইন চালু হয়ে যাবে। শিক্ষার অধিকার আইনে প্রতিটি স্কুলেই ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক রাখতে হবে (১:৩০)। বর্তমানে যা নেই। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৪ হাজার ৬৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ। শিক্ষক রয়েছেন ১৪ হাজার ৩৪৯ জন। অর্থাৎ, শিক্ষকের সংখ্যা কম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সঠিক বদলি নীতি না থাকায় বহু স্কুলেই অতিরিক্ত শিক্ষক রয়েছেন। আবার কিছু স্কুল থেকে গিয়েছে এক শিক্ষকের। আইন মানতে হলে প্রতিটি স্কুলেই ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক রাখতে হবে। তা করার জন্যই বদলি প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংসদ। দিন দশেক আগেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। প্রায় ২০০ জন শিক্ষকের বদলির নির্দেশও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সংসদ সভাপতি জানান, মূলত, এক শিক্ষকের স্কুলে একাধিক শিক্ষক যাতে থাকে সে জন্য দ্রুত বদলি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। ধীরে ধীরে বদলির মাধ্যমে প্রতিটি স্কুলেই যাতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক থাকে তা করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটি চক্র টাকার বদলি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বদলি প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। সংসদ সভাপতির অবশ্য দাবি, টেট পরীক্ষার কারণেই বদলি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। |
|
|
|
|
|