বিশ্বের চূড়ায় এক যাত্রায় দুইবার ওঠার বিরল নজির গড়ার পরে পাওয়ার আর কী বাকি থাকে? অরুণাচলের প্রথম মহিলা হিসাবে ২০১১ সালে এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছিলেন আনসু জানসেনপা। সঙ্গে ছিলেন আরও এক অরুণাচলি টিনে মেনা। ফেরার পথে পা বাড়িয়েও ফের এভারেস্টের দিকে এগিয়ে যান আনসু। দশ দিনের মধ্যে দুই বার এভারেস্ট জয় করা বিশ্বের প্রথম মহিলা তিনি। কিন্তু, না মিটেছে ক্ষিদে, না কমেছে এভারেস্টের অমোঘ আকর্ষণ। তাই, স্বামী ও দুই সন্তানের মা ৩৪ বছরের আনসু আবার এভারেস্টের পথে পা বাড়িয়েছেন।
পর্বতারোহণের ক্ষেত্রে গত পাঁচটা বছর যেন উত্তর-পূর্বের স্বর্ণযুগ। মণিপুরের নোমাইথেম সূর্য সিংহ ২০০৮ সালে মণিপুরের প্রথম পর্বতারোহী হিসাবে এভারেস্টে ওঠেন। ২০০৯ সালে অরুণাচলপ্রদেশের ২৬ বছর বয়সী যুবক তাপি ম্রা উচ্চতম শৃঙ্গকে পায়ের তলায় আনেন। ২০১১ সালে আনসু ও টিনার সফল এভারেস্ট অভিযান। গত বছর মেঘালয়ের গ্যারি জর্মন ল্যামেয়ার ও নাগাল্যান্ডের সেনা-চিকিৎসক নেইখরেইটুনৌ লিনিউ নিজেদের রাজ্যের হয়ে প্রথম এভারেস্ট চড়েন।
এ বার এই প্রথম যৌথভাবে এভারেস্ট অভিযানে পা মিলিয়েছে উত্তর-পূর্ব। রাষ্ট্রপতি ভবনে, দলের নেতা লেইসাংথেম সুরজিৎ সিংহের হাতে আইস-অ্যাক্স ব্যাটন ও পতাকা তুলে দেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। মোট ১৪ জন অভিযাত্রী আছেন এই দলে। এর মধ্যে মণিপুরের ৬ জন, অরুণাচল, অসম, সিকিমের দুই জন করে এবং মিজোরাম ও মেঘালয়ের একজন সদস্য। দলের সবচেয়ে কমবয়সী সদস্য এন চিংখেইংগানবা (১৬)। তাওয়াং-এ ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ মার্চ অবধি অভিযাত্রীদের শেষ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ চলে।
তাপি ম্রাকে যেমন কার্যত ভিক্ষা করে অভিযানের টাকা যোগাড় করতে হয়েছিল, এ বার অবশ্য তেমনটা নয়। মণিপুরের ‘মণিপুর মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং অ্যাসোসিয়েশন’ (এমএমটিএ)-র উদ্যোগে মণিপুর সরকারের যোজনা বিভাগ ও শিলং উত্তর-পূর্ব পরিষদ (এনইসি)-র যৌথ সাহায্যে এই অভিযান হচ্ছে। চূড়ায় পৌঁছাবার সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে ১৮ মে। |