|
|
|
|
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে বিক্ষোভ, বন্ধ পড়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বামেদের ডাকা বন্ধের দিন স্কুলে আসেননি। অথচ, সারা মাসের হাজিরার যে হিসেব (রিটার্ন) জমা দিয়েছেন, তাতে ওই দিনের সই রয়েছে। দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে বেলদা থানার রানিসরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের একতাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। এর ফলে শনিবার ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন হয়েছে ক্লাসরুমের বাইরে। আজ, সোমবারও ক্লাসরুমের বাইরে পঠনপাঠন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সদস্য মধুসূদন গাঁতাইতের অবশ্য আশ্বাস, “বিষয়টি শুনেছি। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “বন্ধের দিন ওই দুই শিক্ষিকা যদি স্কুলে না এসেও রিটার্নে সই করে থাকেন, তাহলে অন্যায় করেছেন। ঠিক কী হয়েছে, খোঁজ নিচ্ছি।”
গত মাসের ২০ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলো বন্ধের ডাক দিয়েছিল। একতাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বন্ধের দিন প্রধান শিক্ষিকা সুন্দরী সিংহ বিদ্যালয়ে আসেননি। সহ-শিক্ষিকা ভারতী জানাও অনুপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওই দুই শিক্ষিকা রিটার্নে অনুপস্থিতির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। কেন বন্ধের দিন স্কুলে না এসেও রিটার্নে সই করবেন দুই শিক্ষিকা, এই প্রশ্ন তুলেই শুক্রবার স্কুল শেষের পর দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, বিষয়টি এসআই অফিসে জানানো হয়েছিল। তবে দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। প্রতিবাদে স্কুলের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর ফলে তো ছাত্রছাত্রীরাই সমস্যা পড়ছে? জবাবে কোনও কথা বলতে চাননি বিক্ষোভকারীরা।
কী বলছেন অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকা? সহ-শিক্ষিকা ভারতীদেবীর বক্তব্য, বন্ধের সমর্থক ছিলেন বলেই ওই দিন স্কুলে আসেননি। পরে প্রধান শিক্ষিকার কথায় সই করেন। আর প্রধান শিক্ষিকা সুন্দরীদেবী বলেন, “স্কুলের সামনে একশো দিনের কাজ হচ্ছিল। তাই স্কুলে আসেননি।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, যাঁরা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশ তৃণমূল সমর্থক। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।” দুই শিক্ষিকা যদি অন্যায় করেও থাকেন, তাহলে তার জন্য ছাত্রছাত্রীরা কেন সমস্যায় পড়বে? তাদের বাইরে পঠনপাঠন হবে? সংসদের কী কিছু করণীয় নেই? সংসদ সদস্য মধুসূদনবাবুর বক্তব্য, “ওই স্কুলে যাতে স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরু হয়, তার সব রকম চেষ্টা চলছে।” |
|
|
|
|
|