|
|
|
|
তারাবাজি |
কলকাতার ডিজাইন, দিল্লির র্যাম্প |
|
|
চন্দ্রাণী সিংহ ফ্লোরা
উইলস ইন্ডিয়া লাইফস্টাইল উইক-এ চন্দ্রাণীর শো-এর নাম ছিল রাশিচক্র। পোশাকের প্রিন্টের উপর ছিল রাশিচক্রের প্রভাব। হালকা হলুদ, কোবাল্ট নীল আর গাঢ় সবুজ রং চন্দ্রাণীর পছন্দের। লম্বা ঘেরওয়ালা স্কার্টগুলো বেশ আকর্ষণীয়। নরম ফেব্রিকে তৈরি পোশাকগুলো বেশ ফেমিনিন। এবং সেগুলোর বাজারও ভাল বলে দাবি করছেন চন্দ্রাণী। “পোশাক শুধু ডিজাইন করলেই হল না। ফ্যাশন উইকে ক্রেতাদের কথাও মনে রাখতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেকে উৎসাহ দেখিয়েছেন এ বার,” জানালেন চন্দ্রাণী। |
|
|
|
কিরণ উত্তম ঘোষ
অর্ধেক টম বয়, অর্ধেক হিরোইন— কিরণ উত্তম ঘোষের কালেকশনের বৈশিষ্ট্য। অনুপ্রেরণা ‘কলোনিয়াল ওরিয়েন্ট’। প্রচুর মিলিটারি ডিটেলিং ছিল কালেকশনে। যার মধ্যে অন্যতম, কাঁধের কাছে ব্রাসের সূক্ষ্ম কাজ আর বেল্ট দিয়ে শাড়ি। ফেব্রিকের মধ্যে ছিল র-সিল্ক, জরজেট আর ক্রেপ। “এফডিসিআই-এর সুনীল শেঠি এবং ওঁর পুরো টিম মিলে খুবই নিখুঁত ভাবে দিল্লির ফ্যাশন উইক-টা সামলেছেন। বাজারের অবস্থা ভাল নয় বলে শোনা গেলেও আমাদের টিম বেশ ভালই ব্যবসা করেছে,” জানালেন কিরণ। |
|
|
|
একতা জয়পুরিয়া ও রুচিরা কান্ডারি
কালেকশনের নাম ‘ইন্ডিয়ান ক্যালাইডোস্কোপ’। অনুপ্রেরণা বলতে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের এমব্রয়ডারি। বিহারের মটকা, মধ্যপ্রদেশের চন্দেরি, সব ধরনের ফেব্রিক ব্যবহার করেছেন তাঁরা। আর তার মাঝে বুদ্ধি করে ব্যবহার করা হয়েছে বেনারসি শাড়ির বর্ডার। “এ বার সিঙ্গাপুর, কুয়েত আর লন্ডন থেকে অনেক ক্রেতা ছিলেন। আমাদের স্টিচড্ শাড়ি তাঁদের পছন্দ। রানওয়ে আর স্টল থাকাতে আমাদের সুবিধা হয়েছে। মডেলদের আমাদের পোশাকে দেখে ক্রেতারাও খুশি,” বলেন একতা। |
|
|
|
পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
জাপানের ‘বোরো’ টেকনিক থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন পারমিতা। মেন্ডেড বা প্যাচড্ ফেব্রিকের কাজ ব্যবহার করেছেন ডিজাইনার। ঢাকাই জামদানির নতুন রকমের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। সোজা আর উলটো, দু’টো দিকই পাশাপাশি রেখে ডিজাইন করা হয়েছিল ঢাকাই দিয়ে তৈরি কামিজ। কালেকশনে আরও ছিল বাংলার মসলিন, মধ্য ভারতের খাদি দিয়ে তৈরি স্কাটর্, ড্রেস, কুর্তা আর কাফতান। “অনেক ক্রেতা এসেছেন এ বার। হাতের কাজ করা ঢাকাই জামদানির বেশ চাহিদা রয়েছে,” বলেন পারমিতা। |
|
|
|
দেব আর নীল
শো-এর নাম ‘ইন সাইলেন্স’। উল, ক্রেপ, সিল্ক আর অরগ্যানজা দিয়ে তৈরি পোশাকের মূল আকর্ষণ ছিল জাপানি বিডিং। ফার্ন পাতা, ছড়ানো ছেটানো গোলাপ, বাঁশের কঞ্চি— পোশাকের প্রিন্টের অনুপ্রেরণার পিছনে রয়েছে এ সব কিছুই। কালো, সাদা আর ধূসর রঙের আউটফিটই বেশি। এর সঙ্গে মানানসই ত্রিশূলী জুতো। যার মধ্যে ছিল হাতে আঁকা ‘ওয়েজ’ থেকে শুরু করে উঁচু কালো সেক্সি হিল তোলা জুতো। “এ বার ফ্যাশন উইকে অনলাইন ক্রেতার সংখ্যাটা বেড়েছে,” নীল বলেন। |
|
তথ্য: প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত
|
|
|
|
|
|