এক ব্যাগ না! এক বছর পরে পুড়ে যাওয়া হাতিবাগান বাজারের কার্যত এটাই প্রাপ্তি। বছর ঘুরলেও মেলেনি সরকারি ক্ষতিপূরণ। আসেনি দমকলের ছাড়পত্র। ফলে মেলেনি ট্রেড লাইসেন্স। এই অবস্থায় আজ, শুক্রবার আগুন লাগার ‘বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে সেখানে অনুষ্ঠান। থাকার কথা স্থানীয় বিধায়ক, স্থানীয় কাউন্সিলর, দমকলকর্তা প্রমুখের।
গত বছর ২২ মার্চ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় হাতিবাগান বাজার। আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচেনি একটি দোকানও। মাছ, সব্জি, আলু, ফুল, ফল, শাড়ি, বাসন নিয়ে বাজারে মোট সাতটি সব্জি মণ্ডি ছিল। মোট দোকানের সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি। ব্যবসায়ীদের হিসাব অনুযায়ী, আগুনে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। পরিমাণটি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জানিয়েছেন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের নিয়ে তৈরি ‘কোর কমিটি’র সদস্য রঞ্জন রায়ের। কিন্তু সরকারি ক্ষতিপূরণ এখনও আসেনি।
স্থানীয় কাউন্সিলর অতীন ঘোষ বলেন, “বাজারের নকশা দমকল এবং পুরসভায় জমা দেওয়ার পরেই পুরসভা বাজারে ক্যাম্প করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে দেবে।” মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহ ও অতীনবাবু জানান, বাজারের নকশা করতে দেরি হওয়ায় কোনও কাজ এগোনো যাচ্ছে না।
কেন দেরি হল নকশা জমা দিতে? ব্যবসায়ীরা জানালেন, আগ্নিকাণ্ডের পরে তখন বাজারটি নতুন করে তৈরি করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার পরেই পুজোর বাজার শুরু হয়ে যাওয়ায় অন্য কোনও দিকেই তখন নজর দেওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি বেশ কয়েকবার পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ এবং তারকবাবুর সঙ্গে বৈঠক হয়। বাজার প্রসঙ্গে পুরসভার পদক্ষেপ কী হবে, তা এখনও জানাতে চান না পুর-কমিশনার।
কিন্তু নকশা না হয় জমা দেওয়া হবে, নবনির্মিত বাজারের অগ্নি-সুরক্ষা কি এখনও ঠিক হয়েছে?
দমকলের ডিজি দুর্গাপ্রসাদ তারানিয়া বলেন, “সুরক্ষার জন্য আমরা অনেক আগেই কী কী করণীয়, তা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। বাজারের ব্যবসায়ীরা কিছু ব্যবস্থা করলেও, এখনও অনেক বাকি।”
|