হাতুড়ি মেরে লুঠ, পাকড়াও শনি মহারাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পরনে চকচকে পাঞ্জাবি আর ধুতি, কপালে লাল টিপ, হাতে কমণ্ডলু। এই ভেক ধরেই সহজে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন বহুতলে ঢোকার ছাড়পত্র পেয়েছিল হাওড়ার প্রকাশ শর্মা ওরফে শনি মহারাজ। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই চেঙ্গাইলের প্রকাশ মঙ্গলবার ক্যামাক স্ট্রিটে শকুন্তলা লাডলি (৮৫) নামে এক বৃদ্ধার মাথায় হাতুড়ি মেরে গয়না লুঠ করে বলে অভিযোগ। ওই বৃদ্ধাকে খুনের চেষ্টা ও তাঁর গয়না লুঠের অভিযোগে বুধবার রাতে প্রকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, বাবা কৈলাস শর্মার সঙ্গে ভিক্ষায় বেরোত প্রকাশ। ‘শনি মহারাজ’ বলে পরিচয় দিত নিজের। পরে একাই ভিক্ষা করে বেড়াত। ভিক্ষা করতে গিয়েই শকুন্তলাদেবীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ঘটনার দিন কথা বলার ফাঁকে বৃদ্ধা ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লে সে পিছন থেকে হাতুড়ি মারে। তাঁর হার, দুল ও বালা নিয়ে চম্পট দেয় প্রকাশ। বৃদ্ধা এখনও হাসপাতালে। ফ্ল্যাটে হাতুড়িটি পাওয়া গিয়েছে। কী ভাবে ধরা পড়ল প্রকাশ? পুলিশি সূত্রের খবর, ওই এলাকায় ভিক্ষুক ও বহুরূপীদের খোঁজ নিতে গিয়েই প্রকাশের কথা জানা যায়। গোয়েন্দারা বুধবার রাতে চেঙ্গাইলের বাড়িতে হানা দিয়ে প্রকাশকে গ্রেফতার করেন।
|
বড়বাজার ও পোস্তা এলাকায় নলকূপ বসানোর জায়গা চিহ্নিত করল পুরসভা। আগুন লাগলে শহরের ওই সব এলাকায় জলের জোগানে ভীষণ অসুবিধায় পড়ে দমকল। কিছু দিন আগে মহাকরণে টাস্কফোর্সের এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়বাজার-সহ তপসিয়া, তিলজলা ও রাজাবাজার এলাকায় জায়গা খুঁজে নলকূপ বসাতে নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার দমকল, পুলিশ, সিইএসসি, পুরসভার জল সরবরাহ ও বাজার দফতরের আধিকারিকেরা বড়বাজার এলাকা ঘোরেন। সঙ্গে ছিলেন শহরের বেশ কয়েকটি বাজার সমিতির প্রতিনিধিরা। টাস্কফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, “বড়বাজার ও পোস্তায় ৭টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। দু’-এক দিনের মধ্যে তপসিয়া, তিলজলা ও রাজাবাজারে জায়গা দেখা হবে।” তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে জানিয়েছিলেন সাংসদ তহবিল থেকে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে নলকূপ বসানোর জন্য। সে ভাবেই কাজ এগোচ্ছে।
|
পুকুর সংস্কার ঘিরে উত্তেজনা
|
পুকুর সংস্কারের মাটি পুরসভার নিকাশি খালে ফেলা নিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়াল কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চসায়রে। পুলিশ ও পুরসভা সূত্রে খবর, কয়েক জন ব্যক্তি নিজেদের মালিক দাবি করে একটি পুকুর সংস্কার শুরু করেন। কাজের অতিরিক্ত মাটি পাশেই নিকাশি খালে ফেলা হচ্ছিল। খালপথ বন্ধ হয়ে যাবে বলে স্থানীয়েরা প্রতিবাদ করেন। ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান দীপু দাসঠাকুরের কাছে অভিযোগও জানান। বরো চেয়ারম্যানের অফিস থেকে পূর্ব যাদবপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে। দীপুবাবু বলেন, “ওই এলাকা থেকে পুকুর সংস্কারের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে পুলিশ যায়। এখনও পর্যন্ত তারা রিপোর্ট দেয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।”
|
বেনিয়াপুকুরে মিল্লি আল আমিন কলেজের তিন শিক্ষিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, জারিনা খাতুন ও প্রবীণ কৌরের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ-সমাবেশ করল পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ওয়েবকুটা)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ বলেন, “ওই তিন শিক্ষিকাকে অবিলম্বে কাজে বহাল না-করলে সমিতি লাগাতার আন্দোলন করবে।” ৩১ জানুয়ারি কলেজে শিক্ষকদের ঘরেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা সাবিনা নিশাত ওমরের সঙ্গে ওই তিন স্থায়ী শিক্ষিকা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। কলেজের পরিচালন সমিতির সচিব মহম্মদ জাহাঙ্গির অবশ্য এ দিন জানান, সাসপেনশন তোলা হবে না। ইতিমধ্যেই চুক্তির ভিত্তিতে তিন শিক্ষিকাকে নিয়োগ করা হয়েছে। পঠনপাঠন ভাল ভাবেই চলছে।
|
উল্টোডাঙায় বিধান শিশু উদ্যানের সামনের ফুটব্রিজটি বন্ধ করে দিল পুরসভা। ২৫ বছর আগের তৈরি ওই সেতুর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল বলে পুর সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার পুরসভা ও রাজ্য সরকারের এক বিশেষজ্ঞ দল ওই সেতু পরিদর্শনে যান। পুরসভার মেয়র পারিষদ (ইঞ্জিনিয়ারিং) অতীন ঘোষ বলেন, “ফুটব্রিজটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছিল। দুর্ঘটনার আশঙ্কাতেই আপাতত ব্রিজে ওঠার সিঁড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে।” ওই সেতুর পাশেই বিধান শিশু উদ্যান। উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার বলেন, “সেতুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। রাস্তা পেরোনোর ঝুঁকি এড়াতে বিধান শিশু উদ্যানে আসা ছেলেমেয়েরাই তা ব্যবহার করত।” ওই সংগঠনের তরফে জানানো হয়, দায়িত্ব পেলে ওই সেতু সারানোর সমস্ত ব্যয়ভারও বহন করতে প্রস্তুত তাঁরা।
|
পুলিশের সঙ্গে বচসা, অবরোধ |
পুলিশের সঙ্গে বচসার জেরে লেকটাউন-যশোহর রোডের মোড় অবরোধ করলেন অটোচালকেরা। বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। পুলিশ জানায়, বিধাননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ কর্তা লেকটাউন-যশোহর রোডের মোড় দিয়ে যাওয়ার সময়ে দেখেন, এক অটোচালক বেপরোয়া অটো চালাচ্ছেন। অটোচালককে নিষেধ করায় তাঁর সঙ্গে ওই পুলিশকর্তার বচসা বাধে। অটোচালকদের অভিযোগ, পুলিশকর্তার দেহরক্ষী এক চালককে মারধর করেন। এর পরেই অটোচালকেরা মিনিট কুড়ি পথ অবরোধ করেন। মারধরের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে পুলিশ।
|
সহকর্মীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠল এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, তার ভিত্তিতে ফুলবাগান থানার ওই এএসআই-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ডিসি (ইএসডি) সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ফুলবাগান থানার এক ‘গ্রিন পুলিশ’ কর্মী বুধবার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বছর বাইশের ওই তরুণী র বক্তব্য, কয়েক দিন ধরে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী তাঁকে উক্ত্যক্ত করছেন। তাঁকে লক্ষ্য করে অশালীন কথাবার্তাও বলছেন। |