এলাকার কিছু লোকজনের বাধায় দ্বিতীয় দিনেও বন্ধ রইল এসার অয়েলের পাইপলাইন পাতার কাজ। ‘কোল বেড মিথেন’ (সিবিএম) গ্যাস কাঁকসা থেকে পানাগড়ে ম্যাটিক্সের সার কারখানায় পাঠানোর জন্য ওই পাইপ পাতা হচ্ছে। কিন্তু জমির দাম এবং প্রতি মিটার পাইপলাইন পিছু টাকার দাবিতে বুধবার থেকে যে জলঘোলা শুরু হয়েছিল, বৃহস্পতিবারও তা অব্যাহত রইল।
বর্ধমানের অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ও কাঁকসা ব্লকের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভূগর্ভস্থ সিবিএম তুলে তা ম্যাটিক্স-সহ বিভিন্ন শিল্প সংস্থায় সরবরাহ করার কাজ হাতে নিয়েছে এসার। বুধবার কাঁকসার মলানদিঘি, চুয়া ও হরিকি গ্রামের বাসিন্দারা কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি ছিল, প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত জমির জন্য উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং যে জমির নীচে পাইপলাইন পাতা হচ্ছে তার মালিকদের মিটার পিছু তিনশো টাকা দিতে হবে। সংস্থার অস্থায়ী অফিসে সকাল বিক্ষোভ চলায় কর্মীরা কাজে যেতে পারেননি। প্রকল্পের গাড়িগুলিও আটকে দেওয়া হয়। পরে এসার কর্তৃপক্ষ জমির দাম নিয়ে আশ্বাস দিলেও পাইপলাইন পাতা বাবদ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি।
এ দিন সকালে ফের পাইপলাইন পাতার কাজ শুরু হওয়ার আগেই গ্রামবাসীরা সংস্থার অস্থায়ী কার্য্যালয়ে হাজির হয়ে জানিয়ে দেন, মিটার পিছু ক্ষতিপূরণের বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত যেন কাজ শুরু না করা হয়। সংস্থার কর্মীরা আর ঝুঁকি নেননি। দিনভর কাজ বন্ধই থাকে। এ নিয়ে সংস্থার আধিকারিক রাকেশ পটেল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু জানান, ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মী বলেন, “নির্দিষ্ট সময় বেঁধে কাজ শুরু হয়েছিল। এ ভাবে বারবার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হলে সেই সময়ের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে না।”
এসারের এক আধিকারিক অবশ্য এ দিনও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন। গ্রামবাসীদের পক্ষে দামাল ঘোষ বলেন, “জমি বাবদ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে এসার কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময় চেয়েছেন। আমরা চাই, পাইপ পাতার বিষয়টি নিয়েও তাঁরা তেমনই কোনও আশ্বাস দিন।”
তবে আজ, শুক্রবার গ্রামবাসীদের তরফে নতুন করে আর কোনও কর্মসূচি নেওয়া হবে না বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
|