সহারার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে এ রাজ্যেও প্রক্রিয়া শুরু করল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। দেশের অন্যান্য জায়গার মতো এখানেও তারা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চাইছে যে, সহারার কোনও সম্পত্তি আছে কি না। থাকলে, তার বিস্তারিত নথি সেবির কাছে দিতে বলা হচ্ছে।
চিঠি এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। সেখানকার জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “সহারার সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে সেবি চিঠি দিয়েছে। জেলায় তাদের জমি থাকলে যাতে তা কেনা-বেচা না হয়, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে।” এর পরই প্রত্যেক ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে এই সংক্রান্ত নথি চেয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দম দত্ত বলেন, “জেলায় সহারার সম্পত্তি থাকলে, সেবিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
লগ্নিকারীদের কাছ থেকে তোলা টাকা (সুদ সমেত ২৪ হাজার কোটি) সময়মতো না ফেরানোয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সহারা গোষ্ঠীর দুই সংস্থা ও তার শীর্ষ কর্তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আগেই নির্দেশ দিয়েছে সেবি। ফেব্রুয়ারিতে সহারা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুব্রত রায়-সহ বিভিন্ন শীর্ষ কর্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করার নির্দেশও দেওয়া হয়। শুক্রবার সুব্রতকে গ্রেফতারের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে সেবি।
রাজ্যে বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে সহারার। যেমন, সহারার উদ্যোগে মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ এলাকায় উপনগরী তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল। রাজ্যের ২১৭টি জায়গায় উপনগরী তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল।
তবে উপনগরী প্রকল্পের জন্য সব জমি সরাসরি একই সংস্থার নামে কেনেনি সহারা। অনেক ক্ষেত্রেই জমি কেনা বা লিজ চাওয়া হয়েছে বহু ছোট সংস্থার নামে। যেমন, খড়্গপুর ১ ব্লকের মাতকাতপুর ও সতকুই মৌজায় প্রায় ৭০ একর জমি কেনা হয়েছে। আরও আড়াই একর খাস জমি দীর্ঘ মেয়াদে লিজ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে প্যাডে আবেদন জানানো হয়েছিল, তার মাথায় সহারার নাম থাকলেও, জমির আবেদন করা হয়েছিল মোট ১২টি সংস্থার নামে।
|