|
|
|
|
সাংবাদিক-খুনের তদন্ত |
অভিযুক্ত সিআইডি হেফাজতে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কেবল টিভির কর্ণধার উত্তর দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সহ সম্পাদক সঞ্জীব বর্ধন খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিপ্লব ছেত্রীকে নয় দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিল সিআইডি। রবিবার অভিযুক্তকে মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক সরজিৎ রায় সিআইডির আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতের নির্দেশে ১৯ মার্চ ফের অভিযুক্তকে আদালতে তুলবে সিআইডি।
রায়গঞ্জের রমেন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা বিপ্লবকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মালদহের একটি হোটেলে থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। অভিযানের সময় হোটেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে অভিযুক্তের দুটি পা-ই ভেঙে যায়। অভিযুক্তকে জেলা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো হয়। এদিন সিআইডি কর্তারা তাকে মালদহ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে রায়গঞ্জ আদালতে নিয়ে যান। এ দিকে ওই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ দিন গৌর বর্মন নামে এক ব্যক্তিতে সিআইডি হেফাজতে নেয়। এক লটারি বিক্রেতা খুনের অভিযোগে পুলিশ গৌরকে ২ মার্চ গ্রেফতার করে। এ দিন অভিযুক্ততে আদালতে তোলা হলে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় আদালতে।
কেবল ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রমেন্দ্রপল্লি এলাকায় গুলিতে খুন হন উকিলপাড়ার বাসিন্দা তথা রায়গঞ্জ কেবল টিভির আলোকচিত্রী বিশ্বজয় ঘোষ। সিআইডি ওই মামলার দায়িত্ব নেওয়ার পরে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ধৃত বিপ্লব সহ সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ আদালতে চার্জ গঠন হয়। বিপ্লব ওই মামলায় আদালতে নিয়মিত হাজিরা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। গত ৪ জানুয়ারি কেবলের অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিশীথ সরণি এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন সঞ্জীববাবু। হতের পরিবারের তরফে বিপ্লব সহ তিন জনের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ এফআইআরে নাম থাকা এক জন এবং খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও চার জনকে গ্রেফতার করে। তবে বিপ্লব ফেরার থাকায় তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মাসখানেক আগে মামলার দায়িত্ব নেয় সিআইডি। অভিযুক্ত বিপ্লবকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মালদহ থেকে গ্রেফতার করা হয়। |
|
|
|
|
|