|
|
|
|
মঞ্চে পতাকা-ব্যানার |
টিএমসিপির আচরণে বিব্রত ২ মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান উদ্বোধন এবং মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের শিলান্যাসের অনুষ্ঠান মঞ্চ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যানার, ফেস্টুন ও পতাকায় ঢেকে দেওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও চিকিৎসকদের মধ্যে। রবিবার ঘটনাটি ঘটে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। উদ্বোধনে গিয়ে বিষয়টি জানার পরই চরম অস্বস্তিতে পড়েন রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। সরকারি অনুষ্ঠানে টিএমসিপি ছাত্র সংগঠনের ফেস্টুন, ব্যানার দেখে ক্ষুব্ধ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধক্ষ্য। অনুষ্ঠান শুরুর ১০ মিনিট আগে মঞ্চ থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যানার, ফেস্টুন খুলে নিয়ে তিনি পরিস্থিতি সামলান।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “এটা ভুল হয়ে গিয়েছে। আজকে এটা পুরোপুরি সরকারি অনুষ্ঠান। সরকারি অনুষ্ঠানে দলীয় ফেস্টুন, পতাকা টাঙানো ঠিক হয়নি।” হাসপাতালের অধ্যক্ষ উচ্ছ্বল ভদ্র বলেন, “সরকারি অনুষ্ঠানে ছাত্র সংগঠনের পক্ষে ফেস্টুন, ব্যানার টাঙানো হয়। পরে মঞ্চ থেকে সমস্ত পতাকা, ফেস্টুন খুলে দেওয়া হয়।” কর্মী সমর্থকদের ওই কাজে বিপাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন, “সংগঠনের কিছু অতি উৎসাহী কর্মী-সমর্থকরা ওই কাজ করেছে। আমি দ্রুত পতাকা, ফেস্টুন খোলার নির্দেশ দিয়েছি।” এ দিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের সহ সভাপতি বিধায়ক নির্মল মাঝি উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “বাম আমলে ৩৪ বছরে ৪টি এসএনসিইউ হয়েছে। আমরা ৩১ মার্চের মধ্যে ৪০টি এসএনসিইউ গড়েছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্রের আমলে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনে প্রচুর কাটমানি নেওয়া হয়েছে। অথচ সব যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দি ছিল। মেশিনের মেরামত দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।” নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, “কিছু দালাল চিকিৎসকদের বাধ্য করছে নিম্নমানের ওষুধ লিখতে। যাঁরা রাজি হচ্ছেন না হামলা হচ্ছে।” কৃষ্ণেন্দুবাবু এদিন বলেন, “হাসপাতালে দাদাগিরি সহ্য করা হবে না।” |
|
|
|
|
|