এখনও থমথমে জটেশ্বর, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা
পুলিশের জিপ পোড়ানোর আট দিন বাদেও থমথমে জটেশ্বর গ্রাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় টাকা দ্বিগুণ করার চক্রের মূল পাণ্ডা এলাকা ছাড়া হওয়ার পর ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রবিবার আমানতকারীদের একটি অংশ বীরপাড়া-ফালাকাটা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করেন। আমানতকারীরা কয়েক জন এজেন্টের বাড়িতে চড়াও হন।
পরিস্থিতি জানলেও কেউ অভিযোগ দায়ের না করায় পুলিশ কোনও রকম ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলে জানিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়ার কথায়, “জটেশ্বরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। ওই যুবক নিখোঁজ হয়েছে। টাকা ফেরত পাচ্ছে না বলে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই মাস ধরে এলাকার এক যুবক এবং লোকেরা ১৫ দিনে টাকা দ্বিগুণ করার আশ্বাস দিয়ে সংস্থা চালাচ্ছিল। প্রতিবার মানুষ দ্বিগুণ টাকা পাচ্ছে বলে প্রচার হওয়ায় জটেশ্বর-সহ আশেপাশের গ্রামের বহু মানুষ সেখানে টাকা রাখতে শুরু করেন। ওই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে ফালাকাটা থানার আইসি-র নির্দেশে জনগণকে সচেতনতা করার জন্য গত ২ মার্চ জটেশ্বর হাটে মাইকে প্রচার করা শুরু হলে উত্তেজিত আমানতকারীদের একাংশ পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এস পি এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ফালাকাটা আইসি’র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পুলিশ সুপার তাকে ক্লোজ করে। পুরো ঘটনার পেছনে পুলিশের কেউ জড়িত আছে কি না তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন। সিপিএম পরিচালিত ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ক্ষিতীশ রায় বলেন “দু-তিন দিন একাংশ আমানতকারীর টাকা ফেরৎ দিলেও শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ওই পাণ্ডার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ গোড়াতে ওই কারবার বন্ধ করলে এ ধরনের পরিস্থিতি হত না।”
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.