এখনই বিয়ে নয়। নাবালিকা চায় আরও পড়তে। কিন্তু তার বাবার চাপে তাকে বসতে হচ্ছিল বিয়ের পিঁড়িতে। শেষমেশ পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তার ইচ্ছারই জয় হল। বন্ধ হল বিয়ে। প্রশাসন জানিয়েছে, ওই নাবালিকা যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শনিবার রাতে পাথরপ্রতিমার বরদাপুর গ্রামের ঘটনা।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাথরপ্রতিমার বরদাপুর আদর্শ মিলন বিদ্যাপীঠ থেকে এ বার মাধ্যমিক দিয়েছে বছর ষোলোর ওই ছাত্রীটি। তার সঙ্গে কাকদ্বীপের রবীন্দ্র পঞ্চায়েতের এক ব্যবসায়ী যুবকের বিয়ে ঠিক হয়েছিল শনিবার। রান্নার কাজ প্রায় শেষ। হাজির অতিথিরা। শুভ ক্ষণে বর-কনের ছাদনাতলায় বসার অপেক্ষা। এমন সময়ে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বিডিও অচিন্ত্য হাজরার কাছে ওই বিয়ের বিষয়ে খবর আসে। তিনি পুলিশ নিয়ে হাজির হন বিয়েবাড়িতে। বন্ধ করেন বিয়ে। বোঝান পাত্রীর বাবাকে।
বিডিও বলেন, “ভাল পাত্র পাওয়ায় ওই নাবালিকার বাবা বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তাঁকে বোঝানো হয়েছে এটা অপরাধ। মেয়ের বিয়েতে মত ছিল না। ও পড়াশোনা করতে চায়। ঠিক করেছি, ওর বইপত্র কেনার টাকা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে দেওয়া হবে।” শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীর যাতে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিতে সমস্যা না হয়, তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিডিও। তিনি বলেন, “ও যে স্কুলে পড়ত, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির সময়ে ওকে কোনও টাকা দিতে হবে না।” একই আশ্বাস দিয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নায়েক। তিনি বলেন, “ছাত্রীটি যে আরও পড়তে চায়, এটাই আমার ভাল লেগেছে। ওকে সব রকম ভাবেই আমরা সাহায্য করব।” |