|
|
|
|
মাদ্রাসায় বই অমিল, শিকেয় পড়াশোনা |
সুমন ঘোষ • কলকাতা |
শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার পর দু’মাস পেরিয়ে গেল, এখনও সব পাঠ্যপুস্তক এসে পৌঁছল না রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে। ফলে শিকেয় উঠেছে পঠনপাঠন। কবে বই মিলবে তা কেউ নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেননি। এ দিকে মার্চ মাসে একটি পরীক্ষা রয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকরাও।
কেন এই সঙ্কট, দায় কারতা নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা। মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি কোনও বিতর্কে না গিয়ে বলেন, “অধিকাংশ মাদ্রাসাই তাদের কত বই লাগবে জানিয়েছে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। এরপর ছাপতে দেরি করছে প্রেস। তবে, শীঘ্রই মাদ্রাসাগুলিতে পাঠ্যপুস্তক পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১৬টি মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্র, ৩টি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র (সিনিয়র মাদ্রাসা টাইপ) ও দুটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১১টি, সপ্তম শ্রেণিতে ১৪টি, অষ্টম শ্রেণিতে ১৩টি পাঠ্যপুস্তক রয়েছে। ভূগোল, অঙ্ক, সাধারণ জ্ঞানের মতো বিষয়ের পাশাপাশি এখানে পড়ানো হয় আরবি পাঠ ও ইসলাম পরিচয়ও। জেলা পিছু বড় জোর ২০-২৫টি করে এই জাতীয় কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে পড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার ছাত্রছাত্রী। কিন্তু প্রয়োজনীয় বইয়ের অর্ধেকও এসে পৌঁছয়নি মাদ্রাসাগুলিতে। মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক মিরাজ আজিবুল রহমান বলেন, “দ্রুত বই দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। বই দিতে দেরি করায় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার খুব ক্ষতি হচ্ছে।” মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির রাজ্য নির্বাহী সভাপতি নুরে খোদা জানান, মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতেও একই অবস্থা। মুর্শিদাবাদে ১১২টি মাদ্রাসার অধিকাংশতেই ৫০ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক এসে পৌঁছয়নি এখনও। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষকরাও। মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেনাডিহি রানিপাটনা মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রের মুখ্য সম্প্রসারক শামসের আলি বলেন, “বই না থাকলে পড়াব কী করে? মার্চেই পরীক্ষা। পরীক্ষাই বা নেব কী করে? বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও সুফল মেলেনি।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের কাছে কিছু শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের বই রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলি দেব। কিন্তু মাধ্যমিক স্তরের কোনও বই আমাদের কাছে নেই। দ্রুত বই পাঠাতে বলেছি মাদ্রাসা বোর্ডকে।” |
|
|
|
|
|