|
|
|
|
লিবারেশন নেতার জেল হাজত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
নন্দীগ্রাম মামলায় গ্রেফতার সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায়কে ১২ দিনের জেল হাজতে পাঠাল আদালত।
২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে পুলিশ -জনতা সংঘর্ষ হয়। সেই সময় পুলিশের গায়ে হাত তোলা, হত্যার চেষ্টা, দাঙ্গা লাগানোর অভিযোগ ওঠে বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় -সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাকি সাত জন হলেন নন্দীগ্রামের শেখ শাহাদত, শেখ রশিদ আলম, মহিষাদলের নিতাই মণ্ডল, কলকাতার দিবাকর ভট্টাচার্য, মলয় তেওয়ারি, শঙ্কর মিত্র (মৃত) ও দিল্লির জিতেন্দ্রপ্রসাদ। নন্দীগ্রাম থানার তৎকালীন ওসি শ্যামল রায় সেই দিনই ‘সুয়োমোটো’ করেন। ৪ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা জামিনে ছাড়া পেলেও তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা চলছিল। নির্ধারিত দিনগুলিতে আদালতে হাজিরা দিচ্ছিলেন না অভিযুক্তরা। এই কারণেই গত বছরের ২১ জানুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এ দিকে, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এই মামলা প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছিল লিবারেশনের রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তদানীন্তন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁরা। মিলেছিল আশ্বাস। শনিবার মহিষাদলের বাড়ি থেকে বিপ্রদাসবাবুকে গ্রেফতার করার পরে তাই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন লিবারেশন নেতৃত্ব।
রবিবার হলদিয়া এসিজেএম আদালতে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী গোপাল দাসও মামলা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ তুলে জামিনের আবেদন করেন। সরকারি আইনজীবী দেবদুলাল গিরি তার বিরোধিতা করে বলেন, “জামিনে থাকলেও আদালতে স্বয়ং বা আইনজীবী মারফত অভিযুক্তরা হাজিরা দেননি। সেই কারণেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।” সব শুনে বিচারক দেবকুমার সুকুল ২২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান বিপ্রদাসবাবুকে। |
|
|
|
|
|