মাদক নেওয়ার দায়ে পাটিয়ালার এনআইএস শিবির থেকে বহিষ্কৃত হলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বক্সার রাম সিংহ।
গতকাল অলিম্পিক ব্রোঞ্জজয়ী বিজেন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে মাদক নেওয়ার অভিযোগ এনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিলেন রাম সিংহ। যিনি আজ পুলিশের কাছে নিজের বয়ান পাল্টে বলেছেন, তিনি এবং বিজেন্দ্র ‘ফুড সাপ্লিমেন্ট’ ভেবে ভুল করে ‘হেরোইন’ নিয়েছিলেন। সাই কর্তৃপক্ষ যা শুনে প্রচণ্ড বিরক্ত। সাই-এর তরফে এ দিন সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এনআইএস শিবিরে খেলোয়াড়দের ডায়েট এবং ফুড সাপ্লিমেন্ট সরবরাহের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। যার ফাঁক দিয়ে গলে ভুল করেও মাদক ঢোকা সম্ভব নয়। এনআইএস কর্তা রানাওয়াতের কথায়, “খেলোয়াড়দের ডায়েট দেখার জন্য আলাদা কমিটি রয়েছে যাতে এক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও আছেন। ভুল করে কিছু খেয়ে ফেলার প্রশ্ন নেই।” এর পরেই রামকে শিবির থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আপাতত বিজেন্দ্রর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে না সাই।
১৪ জানুয়ারি থেকে বক্সিং শিবির চলছে এনআইএস-এ। জাতীয় বক্সিং কোচ গুরবক্স সিংহ সান্ধু শিবিরেই আছেন। তিনি বিজেন্দ্রর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, “বিজেন্দ্রকে দশ বছর ধরে চিনি। খুব কম বক্সারই ওর মতো শৃঙ্খলা মেনে জীবন কাটায়। তা ছাড়া বিজেন্দ্রর অনেক বার ডোপ পরীক্ষা হয়েছে। কখনও কোনও ড্রাগ পাওয়া যায়নি।” বিজেন্দ্রর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার আগে পুলিশি তদন্তের জন্য অপেক্ষা করা উচিত জানিয়ে গুরবক্স বলেছেন, “তদন্ত শেষ না হলে বিজেন্দ্রর বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না”।
শনিবার রাম সিংহ পঞ্জাব পুলিশকে বলেন, তিনি ও বিজেন্দ্র গত ডিসেম্বর থেকে কম করে ছ’বার ড্রাগ নিয়েছিলেন। কিন্তু এ দিন জিজ্ঞাসাবাদে বয়ান পাল্টে বলেন, “আমি আর বিজেন্দ্র ফুড সাপ্লিমেন্ট ভেবে ড্রাগ খেয়েছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল শক্তি ও গতি বাড়ানোর সাপ্লিমেন্ট খাচ্ছি।” প্রসঙ্গত, মাদক পাচারকারী অনুপ সিংহ গ্রেফতার হওয়ার আগের দিনই পাটিয়ালার শিবিরে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ঘরে আচমকা তল্লাশি চালানো হয়। গুরবক্স জানিয়েছেন, বক্সারদের ঘরে তল্লাশির সময় তিনি হাজির ছিলেন। কারও ঘর থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। এনআইএসের আট অ্যাথলিট সম্প্রতি ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়ার পর থেকে এ ব্যাপারে আরও কঠোর হয়েছে সাই কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পাটিয়ালায় শিবিরের বাইরের বেশ কিছু ওষুধের দোকানে ড্রাগ কিনতে পারা যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। |