এএফসি কাপে সুভাষ ভৌমিকের সাফল্যের ইতিহাসকে সঙ্গী করেই ভিয়েতনামে গেলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর মর্গ্যান!
২০০৪ সালে সুভাষের কোচিংয়ে এএফসি কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। এটাই এএফসি-তে সেরা পারফরম্যান্স লাল-হলুদের। সুভাষের এই সাফল্যের কথা শুনে আপ্লুত মর্গ্যান বলছেন, “অবশ্যই এই কৃতিত্বটা আমার ছেলেদের উৎসাহিত করবে। ওরা পুরনো ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই মাঠে নামবে।”
২০০৪-এর পর অবশ্য পাঁচ বার এএফসি কাপ খেলার ছাড়পত্র পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এর মধ্যে দু’বার মর্গ্যানের কোচিংয়ে। কিন্তু প্রতি বারই গ্রুপ লিগ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে লাল-হলুদ বাহিনীকে। এ বার অবশ্য নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন চিডিরা। প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তার উপর আইএফএ শিল্ডের সাফল্য পুরো শিবিরের শরীরী ভাষাই বদলে দিয়েছে। |
রবিবার অনুশীলনে তাই ফুরফুরে মেজাজে পাওয়া গেল কোচ-ফুটবলার সবাইকেই। সাহেব কোচ তো সাফ বললেন, “ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি খুব খুশি। ভিয়েতনামের বিরুদ্ধেও এ বার তিন পয়েন্ট চাই।” ২০০৪ সালে এএফসি কাপে সুভাষের বাজি ছিল মাইক ওকোরো। আর এ বার ভিয়েতনামের সাই গন জুয়ান থানের বিরুদ্ধে মর্গ্যানের বাজি এডে চিডি। হয়তো ওডাফা, র্যান্টি বা কার্লোসদের মতো ক্যামেরার ফোকাসে থাকেন না। তবু আড়ালে থেকেই নিজের কাজ করে চলেছেন চিডি। ধারাবাহিক ভাবে গোল করে দলকে জেতাচ্ছেন। দলের নির্ভরতা বাড়াচ্ছেন। চিডির পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত মর্গ্যান বলছেন, “এই জন্যই আমি চিডিকে নেওয়ার জন্য মরসুমের শুরুতে কর্তাদের চাপ দিয়েছিলাম।” আর লাল-হলুদের নাইজিরিয়ান গোলমেশিন বলছেন, “গোল করে দলকে জেতানোটাই তো আমার কাজ। ভিয়েতনামে গিয়ে দলকে জেতাতে পারলে খুশি হব।”
এ দিকে চোটের জন্য ১৮ জনের দলে নেই কেভিন লোবো, অর্ণব। কার্ড সমস্যায় পাওয়া যাবে না ইসফাককে। পারফরম্যান্স না থাকার কারণে বাদ পড়েছেন মননদীপ। |