এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রামেরই এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হুগলির গুপ্তিপাড়ার চরকৃষ্ণবাটিতে। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলে মারধর করে গ্রামবাসীরা। পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তবে, স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিশ অবশ্য অভিযুক্তকে ধরছিল না বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত, পদস্থ পুলিশ অফিসারদের হস্তক্ষেপে রবিবার সন্ধ্যায় যুবকটি ধরা পড়ে। ধৃতের নাম জগন্নাথ সরকার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চরকৃষ্ণবাটি পঞ্চায়েতের শক্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর আঠাশের ওই গৃহবধূ শুক্রবার রাতে দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। স্বামী খেতমজুর। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ জগন্নাথ ঘরের টালির চালে ইট ছোড়ে। সেই আওয়াজে ওই গৃববধূ বেরিয়ে আসেন। যুবকটি তখন ঘরের মধে ঢুকে পড়ে। কুপ্রস্তাব দেয়। মহিলা রাজি না হওয়ায় তাঁর হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে যুবকটি। হুমকি দেয়। মহিলার চিৎকারে প্রতিবেশিরা বেরিয়ে আসেন। যুবকটি পালায়। গ্রামবাসীরা তাকে ধরে পেটায়।
মহিলার পরিবারের অভিযোগ, ওই রাতে গুপ্তিপাড়া ফাঁড়িতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে পুলিশ। এমনকী তাঁদের অভিযোগও নেওয়া হয়নি। শনিবার গ্রামবাসীদের চাপে অভিযোগ নেওয়া হয়। তবে অভিযুক্ত অধরাই ছিল। মহিলার অভিযোগ, যুবকটি মাঝেমধ্যেই তাঁকে উত্যক্ত করত। সে কথাও গুপ্তিপাড়া ফাঁড়িতে একাধিকবার জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও, পুলিশ কোনও পদক্ষেপই নেয়নি। রবিবার সন্ধ্যায় অন্য সূত্র মারফত ঘটনার কথা জানতে পারেন সার্কেল ইনস্পেক্টর নন্দন পানিগ্রাহী। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে তিনি দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন ওই যুবককে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। |