ক্রেতা সেজে ঢুকে বাগনানের দু’টি সোনার দোকান থেকে সোনা-রুপোর বেশ কিছু গয়না এবং নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুঠ করল সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। একটি বাড়িতে এবং ওষুধের দোকানে ডাকাতির চেষ্টা হয়। শনিবার এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাগনানের ব্যবসায়ী মহল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে। ওই রাতে উলুবেড়িয়ার একটি পেট্রল পাম্পেও ডাকাতি হয়।
গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেউ কেউ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলছেন।
বাগনানের ডাকাতিগুলি একটিই দুষ্কৃতী-দলের কাজ কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নন জেলার পুলিশ কর্তারা। হাওড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুখেন্দু হিরা বলেন, “সব ক’টি ক্ষেত্রেই অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।” |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সন্ধ্যায় প্রথম ডাকাতি হয় বাগনানের নুন্টিয়ার একটি সোনার দোকানে। সেখানে ঢুকেছিল ছ’জন দুষ্কৃতী। এর পরে বাগনান এন ডি ব্লকের বাসিন্দা গোবিন্দ ভট্টাচার্যের বাড়িতে চড়াও হয় কয়েক জন দুষ্কৃতী। এক জনের ঠিকানা জানতে চেয়ে দরজা খুলিয়ে গোবিন্দবাবুর ছেলে ঋতব্রতকে মারধর করে তারা। ছেলেকে বাঁচাতে এসে প্রহৃত হন মা মীনাক্ষীদেবীও।
মা-ছেলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা চলে এলে শূন্যে গুলি ছুড়ে দুষ্কৃতীরা পালায়। এর পরে খাদিনান বাজারেরও একটি সোনার দোকানে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা।
হারোপ বাজারে একটি ওষুধের দোকানেও ডাকাতির চেষ্টা হয়। দোকান-মালিক সেই সময়ে দোকান বন্ধ করছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে মোবাইল ও টাকা কেড়ে চম্পট দেয়। রাতে উলুবেড়িয়ার একটি পেট্রল পাম্প থেকে মোটরবাইকে পেট্রল ভরে বিল নিতে গিয়ে দুষ্কৃতীরা টাকা লুঠ করে। |