প্রতিবেশী মহিলাকে প্রথমে অশালীন উক্তি, প্রতিবাদ করায় তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বালি থানার পঞ্চাননতলা রোডে। ধৃতের নাম দিবাকর দাস (৩০)। পুলিশ জানায়, পঞ্চাননতলা রোডের একটি বহুতলের বাসিন্দা শেলি মুখোপাধ্যায় পাল এবং শান্তনু পাল নামে ওই দম্পতি দু’টি শেয়ার কেনাবেচার সংস্থায় কাজ করেন। বহুতলের পাঁচতলায় ওই দম্পতি এবং একতলায় দিবাকর থাকেন। ওই দম্পতির অভিযোগ, গত ৭ মার্চ সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরলে দিবাকর তাঁদের পথ আটকে উপর থেকে জল পড়া নিয়ে বচসা শুরু করেন। সেই বচসা মিটে গেলেও রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শান্তনুর মোবাইলে দিবাকরের ‘মিসড্ কল’ আসে। কিছুক্ষণ পরেই একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আসে এসএমএস। তাতে শান্তনুকে খুনের হুমকির পাশাপাশি শেলির নামে অশ্লীল এবং কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়। ওই দম্পতি তখনই ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দাদের এসএমএসটি দেখান। দিবাকরকে চেপে ধরা হলে তিনি পুরো ঘটনাটিই প্রথমে অস্বীকার করেন। |
শান্তনুবাবু নিজের মোবাইল থেকে অচেনা নম্বরটিতে ফোন করলে, দিবাকরের ঘরেই মোবাইলটি বেজে ওঠে। হাতেনাতে ধরা পড়ে দিবাকর স্বীকার করেন এসএমএসটি তিনিই পাঠিয়েছেন। ঘটনার পরে ওই দম্পতি বালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সে দিনের মতো পুলিশ এসে দিবাকরকে সতর্ক করে চলে যায়।
এর পরে ফের ৯ মার্চ সকালে ওই দম্পতির অফিস যাওয়ার সময় বহুতলের দোতলায় উঠে দিবাকর শেলিদেবীর চুলের মুঠি ধরে তাঁকে মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, শেলিদেবী জানিয়েছেন, সেই সময়ে তাঁর স্বামী নীচে নেমে গেলেও তাঁর চিৎকারে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আসেন অন্য বাসিন্দারাও। তাঁরা দিবাকরকে ধরে ফেলেন। শেলিদেবীকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে দিবাকর ক্ষেপে উঠে শান্তনুবাবুর হাত একটি ভাঙা কাচের উপর চেপে ধরেন বলে অভিযোগ। জখম অবস্থায় শান্তনুবাবুকে উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কুরুচিকর মন্তব্য ও মারধরের অভিযোগে পুলিশ দিবাকরকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগেও দিবাকর এলাকার এবং ওই বহুতলের মেয়েদের কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। এ দিকে, ঘটনার পরে দিবাকরের মা কাজল দাস জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াকালীন র্যাগিংয়ের শিকার হওয়ার পর থেকেই তাঁর ছেলে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে এ দিনের মারধরের ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে চাননি। |