|
|
|
|
ডিমের গাড়ি থেকে উদ্ধার ৪৭ কোটি টাকার মাদক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
ডিমবোঝাই ট্রাক থেকে ৪৭ কোটি টাকার মাদক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হল বরাক উপত্যকায়। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে গাড়ির চালক ও সহকারী চালকও। তৃতীয় জন করিমগঞ্জের ডিম ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানের ভাইপো আব্দুল ওদুদ। মান্নানের ঠিকানাতেই আসছিল গাড়িটি। আজ দিনভর মান্নানের দোকান ও বাড়িতে তল্লাশি চালায় বিএসএফ এবং রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন। তাঁরা অবশ্য এখনই তল্লাশি সম্পর্কে মন্তব্যে রাজি নন। মান্নানের দাবি, “গাড়ি আমার নিজের নয়। ডিমগুলিই শুধু আমার। ডিমের সঙ্গে কী ভাবে কী নিয়ে আসবে, তা আমার দেখার বিষয় নয়। তল্লাশির নামে আমাদের অহেতুক হেনস্থা করা হচ্ছে।” তবে বিষয়টি যে এত হালকা নয়, তা বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর বাজারমূল্য এবং তল্লাশি দলের হাবভাবে ধরা পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তল্লাশি দলেরই একজন জানিয়েছেন, ট্রাকটি হরিয়ানা থেকে রওয়ানা হয়েছিল করিমগঞ্জের উদ্দেশে। মাদক-জাতীয় ট্যাবলেটের সঙ্গে কিছু পাউডার জাতীয় সামগ্রীও ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে রাজস্ব গোয়েন্দারা ওত পাতেন কাটিগড়ায়। সেখান থেকে ট্রাকটি নিয়ে আসেন ভাঙাবাজার বিএসএফ ক্যাম্পে। উপরের দিকে স্তরে স্তরে সাজানো ছিল ডিমের প্যাকেট। পরে ধরা পড়ে, ১১০টি প্যাকেটে ডিম নেই, শুধুই নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ও পাউডার। অনুমান, চোরাপথে এ সব পাঠানো হচ্ছিল মিজোরাম হয়ে মায়ানমারে।
সূত্রটির দাবি, এই অঞ্চলে এত বড় সাফল্য আগে আর মেলেনি। পাউডারগুলি কী ধরনের সামগ্রী, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য কলকাতা থেকে বিমানে আনা হচ্ছে এক বিশেষ পরীক্ষক-দলকে। ঘটনা হল, কার্যত গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়েই দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় মাদক পাচার চক্র। আর সুবিধা মতো এ কাজে ওই চক্র সাহায্য নেয় বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের। |
|
|
|
|
|