|
|
|
|
ডিএসপি খুনের সাক্ষী পেতে হয়রান সিবিআই |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন ৩০০ জন। অথচ কোনও সাক্ষী নেই। তাই বাধ্য হয়ে সাক্ষ্য দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। উত্তরপ্রদেশের কুন্দায় পুলিশ অফিসার জিয়া-উল হকের খুনের তদন্তে নেমে এই অভিজ্ঞতাই হচ্ছে সিবিআইয়ের।
প্রতাপগড়ের কুন্দায় প্রথমে পিটিয়ে ও পরে গুলি করে খুন করা হয়েছিল ডিএসপি জিয়াকে। তাঁর সঙ্গেই খুন হয়েছিলেন গ্রামপ্রধান নানহে যাদব ও তাঁর ভাই। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত কুন্দার বিধায়ক রাজা ভাইয়া ওরফে রঘুরাজ প্রতাপ সিংহ। সংবাদমাধ্যমে হইচইয়ের পরে ওই ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব।
রাজা ভাইয়ার বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেছে সিবিআই।
কিন্তু, খুনের ঘটনা নিয়ে সাক্ষ্য দিতে এগিয়ে আসছেন না কুন্দার কোনও বাসিন্দাই। সিবিআইয়ের জেরা এড়াতে গ্রামের অধিকাংশ পুরুষই গা-ঢাকা দিয়েছেন। সাক্ষ্য না দিতে তাঁদের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে ধারণা সিবিআইয়ের।
কুন্দার পঞ্চায়েত ভবনে ক্যাম্প অফিস খুলেছে সিবিআই। তথ্য দিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, প্রয়োজনে তথ্য সরবরাহকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে। তথ্য জানানোর জন্য দেওয়া হয়েছে একটি টেলিফোন নম্বর ও ই-মেল আইডিও। কিন্তু, তাতে কোনও ফল হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সিবিআই অফিসারদেরই।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ রাজা ভাইয়াকে জেরা করেনি। সিবিআইও তাঁকে কবে জেরা করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। জিয়া-উল-হকের স্ত্রী পরভিন আজাদ অখিলেশকে চিঠি লিখে দাবি করেছেন, তাঁর স্বামীর হত্যার তদন্ত তুলে দিতে হবে দিল্লির সিবিআই দলের হাতে। ওই দলে উত্তরপ্রদেশের কোনও অফিসার থাকবেন না। এই মামলার শুনানির জন্য রাজ্যের বাইরে ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট তৈরিরও দাবি জানিয়েছেন পরভিন।
সরকারি সূত্রে খবর, খুন হওয়ার ছ’মাস আগে রাজা ভাইয়ার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার একটি তালিকা তৈরি করেছিলেন জিয়া। ওই মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে খুন, খুনের ষড়যন্ত্র ও গুন্ডা আইন ভাঙার অভিযোগ।
জিয়া-উল-হকের মৃত্যু উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে শাসক সমাজবাদী পার্টিকে বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে ধারণা অনেকের। মুসলিম সম্প্রদায়ের মনে বিরূপ ধারণা অখিলেশের পক্ষে আদৌ স্বস্তিদায়ক নয়। তবে বিষয়টিকে ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ওয়াজাহাত হবিবুল্লা। তাঁর মতে, নিহত অফিসারের ধর্ম বড় কথা নয়। এক জন সাহসী অফিসার কর্তব্য করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। তদন্ত নিয়ে সিবিআইয়ের উপরে ভরসা রাখা উচিত। |
|
|
|
|
|