কালনা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির তত্ত্বাবধানে থাকা পারুলিয়া উপবাজারের পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্পের শিলান্যাস করেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ও বস্ত্র ও ভূমি দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, “খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দফতরের ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তায় এই বাজারে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে অর্থ বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। পরিকল্পনাটি রূপায়িত হলে উপকৃত হবেন চাষি ও আড়তদারেরা।
কালনা মহকুমার কয়েকটি জমজমাট পাইকারি বাজারের মধ্যে অন্যতম পারুলিয়া উপবাজার। কালনা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিই বহু বছর ধরে বাজারটির দেখভাল করে আসছে। বর্তমানে বাজারে রয়েছে কুড়ি জন আড়তদার। আশপাশের ৩০টি গ্রামের চাষিরা সেখানে গিয়ে ভোর থেকে সব্জি বিক্রি করে আসেন আড়তদারদের কাছে। |
এই বাজারের পরিকাঠামো অবশ্য আগে খুব একটা ভাল ছিল না। বছর খানেক আগে তৎকালীন মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি ও পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বাজারের পরিকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা জমা পড়ে জেলাশাসকের কাছে। সম্প্রতি এই ব্যাপারে অনুমোদন মিলেছে অর্থ দফতরের। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই বাজারটিকে অস্থায়ীভাবে কাছাকাছি এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঠিকঠাক ব্যবসা যাতে করা যায়, সেই ব্যাপারে আশ্বাস মিলেছে প্রশাসনের তরফে।
নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, সব্জি সংরক্ষণ কেন্দ্র, আড়ৎদারদের জন্য পাকা ঘর, কৃষি পণ্য রাখার গুদামঘর, শস্য বাছাই কেন্দ্র, সব্জি পরিষ্কার করার জায়গা ও ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য শৌচাগারের ব্যবস্থা হতে চলেছে এই উপবাজারে। বিধায়ক তপনবাবু বলেন, “পারুলিয়া উপবাজারের পরিকাঠামো উন্নয়নের দেখভালের জন্য একটি কমিটি গড়া হবে। আশা করছি, এই বছরই কাজ শেষ হয়ে যাবে।” বাজার কমিটির সম্পাদক অমর সাহা জানান, অস্থায়ী বাজারে বর্ষার সময়ে হয়তো একটু কষ্ট হবে। তবে ভাল কাজের জন্য একটু সময় তো লাগবেই। পরিকাঠামোর উন্নতি হলে ভোল বদলে যাবে বাজারের। এছাড়াও এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালনার মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেঠি, কালনার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সম্পাদক চন্দ্রশেখর সরকার, পূর্বস্থলী ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানসী দাস-সহ বিশিষ্টেরা। |