পাহাড়ে ধর্মঘট নিয়ে শুক্রবার কার্শিয়াংয়ে বৈঠকে বসছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। গতকাল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পর আজ অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও বিমল গুরুঙ্গদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। আগামীকাল কার্শিয়াংয়ে জরুরি বৈঠকে সে ব্যাপারেই আলোচনায় বসবেন গুরুঙ্গরা। আগামীকালই শিলিগুড়ি ফিরছেন মোর্চা নেতৃত্ব।
আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য আরও ২০০ কোটি অনুদানের আর্জি জানিয়েছে মোর্চা। জিটিএ চুক্তির পরেই কেন্দ্রীয় সরকার জিটিএ-কে ২০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। যার মধ্যে ৬৫ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দ হয়েছে। মোর্চার দাবি, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বাকি ১৩৫ কোটি টাকা দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও ২০০ কোটি দাবি তাঁদের।
অর্থমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, আগে যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা ঠিক করে খরচ করা হোক। মোর্চা-নেতারা অবশ্য শর্ত রেখেছেন, যে পরিমাণ অর্থই বরাদ্দ হোক, তা জিটিএ-কে সরাসরি দিতে হবে।
এ দিন বিমল গুরুঙ্গের প্রশ্ন, “রাজ্য সরকারই যদি সব কিছু ঠিক করে, তা হলে স্বশাসনের অর্থ কী?” আজ চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও মোর্চা নেতাদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাসমুন্সি। দীপা অবশ্য এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি। রাজ্য থেকে কংগ্রেসের অন্য মন্ত্রী, অধীর চৌধুরীর সঙ্গেও গতকাল বৈঠক করেন গুরুঙ্গরা। শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটে টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করার দাবিও জানানো হয়। মোর্চা সূত্রের খবর, কার্শিয়াংয়ের বৈঠকে বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।
ভরা পর্যটন মরসুমে বনধ না-ডাকার জন্য মোর্চার উপরেও প্রবল চাপ রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি-অর্থমন্ত্রীর অনুরোধকে মুখরক্ষার হাতিয়ার হিসেবেই তাই তুলে নিতে চাইছেন গুরুঙ্গ। তবে এই বনধের জন্যও আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন গুরুঙ্গ। |