সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। তা সত্ত্বেও ফের ডিএসও-র মিছিলে স্কুলপড়ুয়া। এবং ফের তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও।
এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও বৃহস্পতিবার কলেজ স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল করে। মিছিলে সামিল করা হয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরও। প্রশ্ন উঠেছে, পঠনপাঠনের ক্ষতি করে পড়ুয়াদের মিছিলে নিয়ে গিয়ে
তাদের কোন স্বার্থ রক্ষা করবে এই ছাত্র সংগঠন?
২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ধর্মতলায় ডিএসও-রই সমাবেশে স্কুলপড়ুয়াদের যোগদান নিয়ে বিতর্ক হয়। অভিভাবকদের না-জানিয়ে বেহালার সাহাপুর মথুরানাথ বিদ্যাপীঠের কয়েক জন ছাত্রকে ডিএসও তাদের সমাবেশে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। |
ডিএসও-র মিছিলে স্কুলপড়ুয়ারাও। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র |
পরে স্কুলপড়ুয়াদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া ঠেকাতে রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হতে বলে উচ্চ আদালত। রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানায়, স্কুলের দিনে স্কুলের সময়ে কোনও স্কুলছাত্র বা ছাত্রী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবে না। স্কুল-কর্তৃপক্ষকেই বিষয়টি দেখতে হবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়। কিন্তু তার পরেও ডিএসও ওই বিষয়ে তাদের ‘মতাদর্শগত অবস্থান’ বদলায়নি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিজেদের কর্মসূচিতে স্কুলছাত্রদের স্কুলের সময়েই জড়ো করেছে তারা।
ডিএসও-র এ দিনের মিছিলের উদ্দেশ্য ছিল অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ফেল তুলে দেওয়া, ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ রাখা, শিক্ষা ক্ষেত্রে সন্ত্রাস এবং ছাত্রী-নিগ্রহের প্রতিবাদ জানানো। নিজেদের দাবিদাওয়া তারা রাজ্যপাল এবং প্রধানমন্ত্রীকেও জানায়। প্রশ্ন উঠেছে, সরকারের নির্দেশিকা অমান্য করে মিছিলে ছাত্রছাত্রীদের সামিল করার কারণ কী?
ডিএসও-র রাজ্য সম্পাদক অংশুমান রায়ের যুক্তি, যে-সব দাবিতে মিছিল হচ্ছে, সেগুলি স্কুলছাত্রদেরও দাবি। তাই তারা মিছিলে এসেছে। তাঁর কথায়, “স্কুলের ওই পড়ুয়াদের জোর করে মিছিলে আনা হয়নি। আমাদের প্রচারে ওরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাড়া দিয়ে এসেছে।”
সরকার কী বলছে?
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, যে-সব পড়ুয়া মিছিলে গিয়েছিল, তাদের স্কুলের কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট চাওয়া হবে। |