স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের রোজগার নিশ্চিত করার জন্য পুরুলিয়ার দু’টি ব্লকে বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া ১ ও বলরামপুর ব্লকে ‘স্বনিযুক্তি ও স্থায়ী গ্রামীন দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচির’ পাইলট প্রোজেক্টের সূচনা করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছিলেন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলির স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আদলে আমাদের রাজ্যেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির কাজের উৎকর্ষতা বাড়াতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরুলিয়ার দু’টি ব্লকে প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পরে গোটা জেলায় ও রাজ্যের অন্যত্রও এই পথ অনুসরণ করা হবে।”
শান্তিরামবাবু জানান, নাবার্ডের পরামর্শে দফতরের কয়েকজন আধিকারিককে নিয়ে তিনি রায়বেরিলি গিয়েছিলেন। সেখানকার প্রত্যন্ত গ্রামে কী ভাবে দক্ষতা বৃদ্ধি করে স্বনির্ভর দল ও গোষ্ঠীগুলি এগিয়ে যাচ্ছে, তা তাঁদের মুগ্ধ করে। ফিরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে পুরুলিয়ায় পাইলট প্রজেক্ট শুরু করার পরিকল্পনা তাঁরা নেন।
কী ভাবে কাজ হবে? স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের প্রধান সচিব আরিজ আফতাব বলেন, “এলাকা ভিত্তিক যে কাজ বা শিল্পের চাহিদা রয়েছে, তেমন কাজই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি করবে। দরকারে ওই কাজের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসে প্রশিক্ষণ দিয়ে সদস্যদের দক্ষতা বাড়ানো হবে। আমরা চাই প্রতি সদস্য মাসে ন্যূনতম ৩০০০ টাকা রোজগার করুন।” তিনি জানান, সদস্যেরা আগ্রহী হলে ছাগল পালন, সব্জি চাষ, লাক্ষা চাষ বা অন্য বিষয়েও কাজ করতে পারেন। সুব্রতবাবু বলেন, “এই প্রকল্প কতটা সফল করতে পারব, জানি না। তবে সামাজিক ভাবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু মাসে ৩০০০ টাকা রোজগার করাই নয়, একজন মহিলা স্বনির্ভর হলে সংসারে তিনি আত্মসম্মানের সঙ্গে থাকতে পারবেন।” তাঁর মতে, পুরুলিয়ার মতো অনুন্নত জেলা থেকে এমন একটা প্রকল্প শুরু করার গুরুত্ব রয়েছে। জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারির প্রত্যাশা, “এই প্রকল্প আশাকরি অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিশা দেবে।” |