সীমানার গ্রামে আশ্রয়ের ব্যবস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির জেরে কোনও পরিবার সীমান্ত পেরোলে সীমানা লাগোয়া গ্রামগুলিতে তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হল বিএসএফকে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই সমস্ত বাংলাদেশি পরিবারের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থাও করতে হবে। পড়শি দেশে মৌলবাদী দাঙ্গার প্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বৃহস্পতিবার বিএসএফ জওয়ানদের এমনই নির্দেশ দিয়ে সংবেদনশীল হওয়ার পরামর্শ দিলেন বিএসএফের কর্তারা। |
|
সুতির সীমান্তের গ্রাম ছাপঘাটিতে নজরদারি। —নিজস্ব চিত্র। |
সুতির চাঁদনিচকে নিমতিতা ও জঙ্গিপুরের পাঁচটি বর্ডার আউটপোষ্টের কম্যান্ডারদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন বিএসএফের ২০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কোম্পানি অফিসার অরবিন্দ ঘোরডিয়াল। সেখানে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বিএসএফ জওয়ানদের সতর্ক করা হয়েছে। বৈঠকের পর অরবিন্দ বলেন, “মুর্শিদাবাদের উত্তরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০ বর্গকিমি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা জামাত ইসলামীদের শক্ত ঘাঁটি। গত কয়েকদিন সেখানে ব্যাপক অশান্তি চলছে। তার আঁচ যাতে ভারতীয় সীমান্তে না আসে সে জন্য কাঁটাতারহীন সীমান্তে জওয়ানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অশান্তির জেরে আতঙ্কে কোনও পরিবার তাদের পরিজনদের নিয়ে ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া গ্রামে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তাঁদের প্রতি সহানুভূতিমূলক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে জওয়ানদের। এদের কোনভাবেই অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হবে না। বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে দেশের সীমান্ত বাহিনীর সাহায্যে তাদের ফের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।” বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত সংলগ্ন আটটি গ্রামে গত দু’দিনে বৈঠক হয়েছে। পিরোজপুর, নারুখাকি গ্রামে সুরক্ষা বাহিনী গড়া হয়েছে বাংলাদেশি পরিবারগুলির দেখভালের জন্য।” |
|