|
|
|
|
পরস্পরের প্রশংসা করে প্রশ্ন দু’দলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
সরকারি অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূলের মন্ত্রীকে পাশে বসিয়ে রাজ্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাজ্য কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব। একই ভাবে কংগ্রেস বিধায়ক আখরুজ্জামানও রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের মানুষ বেশ কিছু প্রকল্প থেকে প্রভূত উপকার পাবে। তাই রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানাতেই হয়।”
কংগ্রেস-তৃণমূল, জোট ভাঙার পর উত্তরোত্তর দু’দলের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। এ অবস্থায় কিছুটা অবাক করেই ওই দুই কংগ্রেস নেতার শাসকদলকে ‘সার্টিফিকেট’ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসেই। দলের একাংশের সন্দেহ, ওই দুই কংগ্রেস নেতা কী হুমায়ুনের পথেই পা বাড়িয়ে আছেন?
অনুষ্ঠানে উপস্থিত তৃণমূলের মন্ত্রী সুব্রত সাহা কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাবকে ‘আমাদের প্রিয় নেতা’ বলে সম্বোধন করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সকলকে নিয়ে একসঙ্গে উন্নয়ণের কাজ করতে। সকলের সহযোগিতায় এই সরকার পাঁচ বছরে রাজ্যের চেহারাটা বদলে দিতে পারবে।”
মহম্মদ সোহরাব বলেন, “রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মা মাটি মানুষের সরকার চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ণমূলক কাজকে নিজস্ব ভাবনাচিন্তা দিয়ে রূপায়ণের চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই ফলস্বরূপ এই রাজ্যে আগামী পাঁচ বছরে একটিও গৃহহীন পরিবার থাকবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা রূপায়িত হলে রাজ্যের চেহারা বদলে যাবে। সে জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক রবীন্দ্রনাথ সরকার জানান, “মুর্শিদাবাদে নিজ ভূমি নিজ গৃহ প্রকল্পে প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ শতক করে জমি দেওয়া হচ্ছে।” তিনি জানান, জেলায় এ ধরনের গৃহহীন আট হাজার পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের সাড়ে চার হাজার পরিবারের হাতে আগামী ৯ মার্চের মধ্যে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|