|
|
|
|
রাজস্বের নামে তোলা আদায়ের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
রাজস্বের নামে তোলা আদায় করা হচ্ছে, এই অভিযোগে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক আধিকারিক-সহ পাঁচ কর্মীকে হেনস্থা করে ঘরবন্দি করে রাখলেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যস্থতায় আদায় করা ৩৯ হাজার আটশো টাকা থেকে বারো হাজার টাকা ফেরত দিয়ে মুক্তি পেলেন তাঁরা। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় পটাশপুরের খড়াইমোড়ে। |
|
পটাশপুরে আটক ভূমি দফতরের কর্মীরা। |
অতিরিক্ত পরিমাণ বালি, স্টোন চিপস, মোরাম বোল্ডার নিয়ে যাওয়া লরিগুলিকে জরিমানা করে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কথা বলেছে সরকার। সেই লক্ষ্যে বুধবার রাতে ওই দুই রাস্তায় দফতরের পাঁচ কর্মী নিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। সেই সময় লরি চালকদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করে তোলা আদায় হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসন্দা ও লরি চালকদের একাংশ। সেই ক্ষোভে এক আধিকারিক-সহ পাঁচ কর্মীকে পাল্টা মারধর ও হেনস্থা করে ঘরবন্দি করে রাখেন স্থানীয়েরা। তৃণমূলের পঁচেট অঞ্চল সভাপতি তাপস বেরা, পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের নাজিবুর মল্লিক-সহ স্থানীয়দের অভিযোগ, মধ্য রাত থেকেই ওই রাস্তায় জোর করে টাকা আদায় করছিলেন ভূমি দফতরের কর্মীরা। মদ্যপ অবস্থায় কয়েক জন কর্মী চালক-খালাসিদের মারধর ও গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করেন। এগরা মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বুদ্ধদেব বারিক অবশ্য তোলা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু স্বীকার করেছেন দু’একজন কর্মীর একটু বাড়াবাড়ির কথা। পাশাপাশি তাঁর দাবি, “আমাদের কর্মীরা সরকারি নিয়ম মতো রসিদ দিয়ে রাজস্ব আদায় করছিল। ভোরের দিকে স্থানীয় কয়েক জন গণ্ডগোল পাকায়। সরকারি টাকা নেওয়ার অপরাধে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।” পটাশপুর থানার ওসি সুধাংশু লায়েক বলেন, “পুলিশকে সঙ্গে রাখলে এমন ঘটনা এড়ানো যেত।” |
|
|
|
|
|