|
|
|
|
রাজনীতির জেরে নিগ্রহ দুই আদিবাসী মহিলাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) সমর্থক আঁকরো ও মাগুরা গ্রামের দুই আদিবাসী মহিলাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল যুব তৃণমূলের এক নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। গত রবিবার অভিযোগ পেলেও বিনপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাজ্য মহিলা কমিশন, মানবাধিকার সংগঠন-সহ প্রশাসনিক মহলে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন ওই দুই মহিলা। আদিবাসী সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বকেও সব জানানো হয়েছে।
নির্যাতিতা মহিলাদের অভিযোগ, গত রবিবার বিনপুর ১ ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি জলধর পণ্ডার নেতৃত্বে ৮-১০ জন সশস্ত্র লোকজন বাড়িতে চড়াও হয়ে প্রথমে পরিবারের সদস্যদের ঝাড়খণ্ড পার্টি ছাড়ার হুমকি দেয় ও অশ্লীল গালিগালাজ করে। এর পর ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে শ্লীলতাহানি করা হয়। ওই দিনই তাঁরা বিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু তারপরও অভিযুক্তেরা বহাল তবিয়তে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, শাসানি দিচ্ছে। মূল অভিযুক্ত জলধর পণ্ডার সশস্ত্র দেহরক্ষী আছে। ওই দিন জলধরবাবু তাঁর দেহরক্ষীকে নিয়েই তাঁদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এক মহিলার স্বামী ঝাড়খণ্ড পার্টির নেতা ও অন্য মহিলার ছেলে ঝাড়খণ্ড পার্টির সক্রিয় কর্মী। মাগুরা এলাকার হিমঘরের শ্রমিক ইউনিয়নটি গত ১৫ বছর ধরে ঝাড়খণ্ড পার্টির শ্রমিক সংগঠন--- ঝাড়খণ্ড মজদুর ইউনিয়নের দখলে। ওই এলাকায় তৃণমূলও শ্রমিক সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এই নিয়েই বিরোধের সূত্রপাত। ঝাড়খণ্ড পার্টির নেত্রী চুনিবালা হাঁসদার অভিযোগ, “অভিযুক্তেরা সবাই শাসক দলের নেতা-কর্মী হওয়ায়, পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করতে চাইছে।”
যুব তৃণমূল নেতা জলধর পণ্ডা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “গত দেড় দশক ধরে গায়ের জোরে ওই হিমঘরটি ওরা দখল করে রেখেছে। ইউনিয়নের নেতারা জোর করে পণ্যবাহী লরি ও শ্রমিকদের থেকে চাঁদা আদায় করে। শ্রমিকদের কোনও স্বার্থই ওরা দেখেনি। গত রবিবার হিমঘরের শ্রমিকদের একাংশের আমন্ত্রণে তাঁদেরই দাবি দাওয়া নিয়ে আমরা হিমঘরে কথা বলতে গিয়েছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, “ইউনিয়নের নেতারা উল্টে আমাদের মুণ্ডু কেটে নেওয়ার হুমকি দেয়। হিমঘরের শ্রমিকেরা আর চুনিবালার লোকজনকে মানতে চাইছেন না। সাংগঠনিক কাজ থেকে আইএনটিটিইউসিকে বিরত রাখার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” ঝাড়গ্রামের এসপি ভারতী ঘোষের বক্তব্য, “আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। পেলে খতিয়ে দেখব।” |
|
|
|
|
|