|
|
|
|
হলদিয়ায় নতুন বার্থ তৈরিতে মিলল কেন্দ্রের অনুমোদন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে হলদিয়া বন্দরে নতুন বার্থ নির্মাণের প্রস্তাবে আজ অনুমোদন দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আজ সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, হলদিয়া উত্তর ও দক্ষিণের ডকে (শালুকখালিতে) বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে মাল্টিপারপাস এবং মেকানাইজড বার্থ ও সহায়ক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। বেসরকারি শিল্প সংস্থাই নতুন এই দুই প্রকল্পের নকশা তৈরি করে তা নির্মাণ করবে। তা পরিচালনাও করবে ওই সংস্থা। তিরিশ বছর পরিচালনার পর তারা তা সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে। উত্তরের ডকটির জন্য আনুমানিক বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ৮২১ কোটি টাকা, দক্ষিণেরটির জন্য ৮৮৬ কোটি টাকা।
যদিও শালুকখালির এই প্রকল্পে এখনও কোনও বিনিয়োগকারী আসেননি। তিন দিন আগেই এই প্রকল্পে দরপত্র জমা দেওয়ার দিন শেষ হয়েছে। টাটা গোষ্ঠীর টিএমআইএল, আদানি পোর্ট এবং হুন্ডাইয়ের কনসোর্টিয়াম শর্তাবলী কিনলেও দরপত্র জমা দেয়নি। এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হলেও কীভাবে তা রূপায়িত হবে তা নিয়ে সংশয়ে বন্দর কর্তারা।
সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, কয়লা ও আকরিক লোহা আমদানি-রফতানির জন্য কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ রয়েছে। অথচ অত ক্ষমতা নেই বন্দরের। অর্থনৈতিক সমীক্ষাতেও ধরা পড়েছে, এর ফলে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক কমেছে ৭.৮ শতাংশ। সেই কারণেই হলদিয়া বন্দরের পণ্য বহণের ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত দুই প্রকল্প রূপায়িত হলে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ বছরে আরও ২.৩৪ কোটি টন পণ্য ওঠানো নামানো করতে পারবে।
কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিল্প বাণিজ্যের প্রসার অনেকটাই কলকাতা বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। আর সেই কারণে কেন্দ্রের পুবে তাকাও নীতির মাধ্যমে পূর্বাঞ্চলে বন্দর পরিকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব দিচ্ছে মনমোহন সরকার। এক দিকে হলদিয়া বন্দরের ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে, তেমনই সাগরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তুলতে চাইছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পগুলি রূপায়িত হলে ভবিষ্যতে ইস্পাত শিল্প, বিদ্যুৎ প্রকল্প, কয়লা ও ইস্পাত খনিগুলি থেকে আমদানি রফতানিতে প্রভূত সুবিধা হবে। কলকাতার পাশাপাশি পূর্ব ভারতে অন্ধ্রপ্রদেশেও একটি গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। |
|
|
|
|
|