|
|
|
|
সংসারে অশান্তি |
রুনিকে নিয়ে সংশয়ে আওয়েনও |
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
মাত্র একটা ম্যাচ। তাতেই পালটে গিয়েছে একদা সতীর্থ দুই ফুটবলারের কেরিয়ারের রেখচিত্র।
একজন সাফল্যের ‘ক্লাউড নাইন’-এ। আর একজন ব্যস্ত ক্লাব দলে নিজের অস্তিত্ব রক্ষায়। প্রথম জন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো যদি রিয়াল মাদ্রিদের প্রধান মুখ হয়ে থাকেন, তা হলে দ্বিতীয় জন ওয়েন রুনি বিগত কয়েক মরসুমে ধরেই তাঁর কোচ স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসনের ‘ম্যান ফ্রাইডে’। কিন্তু মঙ্গলবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচের পর দুই ফুটবলারের কেরিয়ার এখন বাস্তবিকই দুই মেরুতে।
এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কিংবা ফিফার পরবর্তী বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব রোনাল্ডোর হাতে উঠবে কি না, এই প্রশ্নকে ছাপিয়ে প্রশ্ন এখন একটাই, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পরবর্তী মরসুমে ম্যান ইউ-এর জার্সি গায়ে ওয়েন রুনিকে দেখা যাবে কি না! জল্পনা আরও বেড়েছে রোনাল্ডোদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ফার্গুসন রুনিকে প্রথম দলে না রাখায়।
কেন এই জল্পনা? চলতি মরসুমে ১৬ ম্যাচে ১২ গোল করলেও রুনির ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট নন ফার্গুসন। প্রশ্নের মুখে রয়েছে মাঠে এবং মাঠের বাইরে রুনির আচরণও। অতীতে গোলকিপার জিম লেটন থেকে বেকহ্যাম-নিস্তেলরুইসকলের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম দলে না রেখে ফার্গি ‘ছুটির ঘণ্টা’ বাজিয়ে দেওয়ার বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই অতীত রেকর্ডই এ বার রুনির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি না তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন। ফান পার্সি, ওয়েলবেক, জেভিয়ার হার্নান্ডেজ ফার্গুসনের হাতে থাকায় পরবর্তী মরসুমে রুনির দলে থাকা নিয়ে জল্পনা প্রবল। |
|
ফার্গুসনের নজরে রয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের স্ট্রাইকার পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লিওয়ানদস্কি। তিনি এলে সে ক্ষেত্রে কোপটা রুনির ওপরই পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সেই গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে প্রাক্তন ম্যান ইউ স্ট্রাইকার মাইকেল আওয়েনের মন্তব্যে। সংবাদমাধ্যমে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “বড় ম্যাচে প্রথম দলে রাখা হল না রুনিকে। এটা ওর পক্ষে নিঃসন্দেহে চিন্তার ব্যাপার। ম্যানেজার তো গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে প্রথম দলে না রেখে শো-পিস করে রাখবেন না!” এখানেই না থেমে আওয়েন আরও বলেছেন, “কয়েক বছর আগে হলে এ রকম ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে রুনিকে কোচ মাঝমাঠে কিংবা স্ট্রাইকারের পিছনে ব্যবহার করতেন। কিন্তু এ বার ওকে প্রথম দলে রাখাই হল না। কাজেই সমস্যাটা আসলে কোথায় লুকিয়ে, রুনিকেই খুঁজে বের করতে হবে।”
তবে রুনির-ভক্তরা মানতে নারাজ যে, ম্যাঞ্চেস্টারে রুনি জমানার অবসান ঘটতে চলেছে। বরং তাঁরা আশাবাদী, শনিবার চেলসির বিরুদ্ধে নামানো হলে উপেক্ষার জবাবটা মাঠেই দেবেন রুনি। কিন্তু জল্পনা সত্যি হলে? রুনি সেক্ষেত্রে কোথায় যাবেন? নিশ্চিত কোনও উত্তর আপাতত নেই। দু’বছর আগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি রুনিকে পাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠলেও এ বার সেই আগ্রহ অনেকটাই স্তিমিত। ফার্গুসনের দলে রুনির সাপ্তাহিক বেতন তিন লক্ষ পাউন্ড। এই বিশাল অর্থ রুনির পিছনে খরচ করতে নারাজ সিটির ফুটবল কর্তারা। রুনিকে পাওয়ার দৌড়ে রয়েছে প্যারিস সাঁ জাঁও। কিন্তু বেকহ্যাম এবং ইব্রাহিমোভিচকে দলে নেওয়ার পর রুনিকে এই অর্থ তাঁরা দেবে কি না, প্রশ্ন থাকছে। |
|
|
|
|
|