|
|
|
|
‘ম্যাজিক জানলে বিতর্ক ভ্যানিশ করে দিতাম’ |
প্রীতম সাহা • শিলিগুড়ি |
কোচের সঙ্গে মনোমালিন্য। কর্তাদের অন্ধকারে রেখে বেপাত্তা হয়ে যাওয়া। আবার ফিরে আসা। খেলা। সাম্প্রতিক কালে তাঁকে নিয়ে কলকাতা ফুটবলে যে বিতর্কের সুনামি উঠেছে, তা বোধহয় আর কোনও বিদেশি ফুটবলারকে নিয়ে হয়নি। প্রয়াগ ইউনাইটেডের সেই খামখেয়ালি বিশ্বকাপার কার্লোস হার্নান্ডেজ সব বিতর্ক নিয়ে অকপট আনন্দবাজারের সামনে।
প্রশ্ন: আপনার সম্পর্কে এখানকার ফুটবলপ্রেমীদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব পরিষ্কার নয়। আপনার চোখে আপনি কেমন?
কার্লোস: প্রচণ্ড হাসিখুশি। পরিবার আর ফুটবল বাদে কোনও বিষয়ে আগ্রহ নেই। যা করি শুধু আমার পরিবারের জন্যই করি। আর যতটা সম্ভব বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চাই।
প্র: সে কী? ভারতে খেলতে এসে তো বিতর্কই আপনার সব সময়ের সঙ্গী!
কার্লোস: (হাসতে হাসতে) খুব দুর্ভাগ্যজনক। মাঝে মাঝে ভাবি, আমি জাদু-টাদু জানলে বোধহয় ভাল হত! তিন বার হাত নাড়তাম আর সব ভ্যানিশ হয়ে যেত।
প্র: আপনি না কি কোচের কথা শোনেন না?
কার্লোস: কে বলল? (গম্ভীর গলায়) দেখুন, আমি এক জন টিমম্যান। সেখানে আমার নিষ্ঠা নিয়ে যদি কেউ অযথা প্রশ্ন তোলে, আমি ছেড়ে কথা বলব না। আমার সঙ্গে এলকো-র (প্রয়াগ কোচ) কোনও সমস্যা নেই। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন সব ঠিক হয়ে গিয়েছে।
প্র: কিন্তু ক্লাব কর্তারা তো বলেন, আপনি চোটের বাহানায় অনেক ম্যাচ খেলতে চান না!
কার্লোস: কে কী বলে আমার তাতে মাথাব্যথা নেই। আমি জানি, ৬০ শতাংশ ফিট থাকা সত্ত্বেও খেলেছি। কিন্তু চোট গুরুতর হলে আমি নামতে চাই না। কেন নামব? আমি পেশাদার ফুটবলার। যদি কোনও বড় চোট লেগে যায়, তা হলে আমার পরিবারকে কে দেখবে? পরিবারের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে।
প্র: এটা কি সত্যি আপনি শুধু বড় ম্যাচ খেলতে চান?
কার্লোস: (একটু চুপ) বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচ হলে যে টিম খেলে, বার্সেলোনা-মালাগা ম্যাচ হলেও কি বার্সার সেই দল খেলে? যদি ছোট দলের বিরুদ্ধে আমাকে ছাড়াই কাজ চলে যেতে পারে, তা হলে আমার প্রয়োজন কী? বড় দলের বিরুদ্ধে যে মোটিভেশন থাকে, সেটা ছোট দলের বিরুদ্ধে থাকে না। আমার কাছে ফুটবল মানে শুধু লাথালাথি নয়। একটা গঠনমূলক খেলা। শুধু লং বল খেলা ভাল লাগে না।
প্র: এ বার যখন ভারত ছেড়েছিলেন, শোনা গিয়েছিল আপনি আর ফিরতে চান না।
কার্লোস: আমি দেশে ব্যাক্তিগত কাজে গিয়েছিলাম। ওখানে বেশ কিছু ক্লাবে নিলামে আমার নাম উঠেছিল। কিন্তু প্রয়াগের চুক্তি ভেঙে অন্য ক্লাবে যোগ দিতে চাইনি। ১০ মে পর্যন্ত প্রয়াগের সঙ্গে আমার চুক্তি আছে। যা ভাবার তার পরেই ভাবব।
প্র: আপনি কি মেলবোর্নের ক্লাবের সঙ্গে সত্যিই চুক্তি করেছিলেন?
কার্লোস: ওয়েলিংটন ফোনেস্কের সঙ্গে আমার অনেক দূর কথা এগিয়েছে। প্রয়াগের চুক্তি শেষ হলে চূড়ান্ত কথাবার্তা হবে।
প্র: কিন্তু আপনার সেই পছন্দের দল তো অবনমনের পথে। কোচ দল ছেড়েছে।
কার্লোস: কোচ ছেড়ে গিয়েছে জানি। অবনমনের কথাটা আমার জানা নেই। তবে অবনমনে পড়লে ওই ক্লাবে কিছুতেই খেলব না। আমার কাছে তাইল্যান্ড, আজারবাইজান আর মেলবোর্নেরই অন্য একটা ক্লাবের প্রস্তাব আছে। |
|
|
|
|
|