ভাইচুংয়ের ক্লাবের বিরুদ্ধে এ বার খেলেননি ওডাফা। আজ শিল্ড সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে করিমের বাজি বাগানের অধিনায়ক। মোরিনহোর যেমন রোনাল্ডো। অনুশীলনের পর হোটেলের লবিতে বসে করিম বলেও দিলেন, “ওজন কমিয়ে এখন ওডাফা একশো শতাংশ ফিট। দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। ওকে আটকানো সহজ হবে না।” ওডাফাও অনুশীলনের পর বললেন, “জয়ের অভ্যেসটা ধরে রাখতে চাই।”
বুধবার কল্যাণীতে দলে যোগ দেন গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। বাঁ হাতের কড়ে আঙুলে ব্যথা সত্ত্বেও খেলছেন। তবে শুরুতে টোলগে ওজবের ভাগ্য সম্ভবত খুলছে না। মুখে না বললেও অনুশীলন দেখে মনে হল পুরনো টিমেই আস্থা রাখতে চান করিম। ওডাফার সঙ্গী হবেন সাবিথ। কুইনটন এবং ইচেই হয়তো খেলবেন।
হঠাৎ ডাক পেয়ে এ দিনই শহরে এসেছে সিকিম ইউনাইটেড। ভুটানে আমন্ত্রণী ম্যাচ খেলে ম্যাচের একদিন আগে আসায় অনুশীলনও করতে পারেনি আনোয়াররা। কিন্তু এ রকম একটা দলের বিরুদ্ধে কি জিততে পারবে বাগান? এ দিন অনুশীলনে যাওয়ার মুখে অবশ্য করিমের দলের টিম বাস বিগড়ে গেল। অন্য বাস জোগাড় করে অনুশীলনে এলেন ওডাফা-টোলগেরা। তাতেই কি না জানা নেই, করিমের মেজাজ ছিল সপ্তমে। অনুশীলনে বিরক্ত কোচের বকুনি খেতে হয় আইবরদের। আইবরকে কড়া ধমকেও দিলেন, “আমার নির্দেশ মতো খেলতে না পারলে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাও।” পরে অবশ্য মোহন কোচ বললেন, “ফুটবলারদের যাতে আত্মতুষ্টি না আসে, সে জন্য এটা আমার ট্যাকটিক্স।”
|
শুক্রবারে আই এফ এ শিল্ড
• মোহনবাগান: ইউনাইটেড সিকিম (কল্যাণী ৩-০০)
• ইস্টবেঙ্গল: প্রয়াগ ইউনাইটেড (শিলিগুড়ি ৬-০০) |