শিল্ডে নিয়ে এমনিতেই চূড়ান্ত ঝামেলা। বৃহস্পতিবারের ঘটনা সেই আগুনে আরও ঘি ঢেলে দিল। আয়োজক কমিটির সচিব অরূপবাবুর হুমকি, “শিল্ডের পুরো দায়িত্ব যদি আমাদের হাতে না দেওয়া হয়, তা হলে শিলিগুড়িতে সেমিফাইনাল, ফাইনাল হবে না।” জানা গেল, শিল্ডের প্রচার থেকে টিকিট বিক্রির গোটা দায়িত্বই আইএফএ নিজের হাতে রেখে দিয়েছে। স্থানীয় কমিটিকে ক্রীড়াসূচি থেকে শুরু করে কোন কোন টিম খেলবে, তা টুর্নামেন্ট শুরুর আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে মেল করে জানানো হয়। যাতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ উদ্যোক্তারা। পরিস্থিতি যা, তাতে শিল্ডের সেমিফাইনাল-ফাইনাল কলকাতাতেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিতর্ক থামাতে অবশ্য শুক্রবার সকালেই শিলিগুড়ি আসছেন উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়।
মাঠের বাইরে তোলপাড় চললেও, দু’দলের কোচ-ফুটবলারদের মধ্যে কোনও উত্তাপ নেই। উল্টে শুক্রবারের নিয়ম রক্ষার ম্যাচের চেয়ে ট্রেভর জেমস মর্গ্যান বেশি চিন্তায় ভিয়েতনামে তাদের এএফসি কাপের ম্যাচ নিয়ে। এ দিনও প্র্যাক্টিসে ছুটি দেওয়া হয় চিডি-পেনদের। সকালে সাঁতার, জিম, বিকেলে বিশ্রাম। মর্গ্যান বলছিলেন, “শিল্ডের সেমিফাইনালে চলে গিয়েছি। তাই এএফসি কাপকেই এখন বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। যারা এখনও পর্যন্ত খেলার সুযোগ পায়নি, তাদের প্রয়াগ ম্যাচে খেলাব।” ওপারা আর বরিসিচের একটা করে হলুদ কার্ড আছে। তাদের সুরক্ষিত রাখতে আজকের ম্যাচে দু’জন বিদেশি পেন আর চিডিকেই নামাবেন ঠিক করে ফেলেছেন মর্গ্যান ।
ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুশীলন না করলেও, প্রয়াগ কোচ এলকো সাতৌরি ফুলবাড়িতে সেনাবাহিনীর মাঠে এক ঘণ্টা অনুশীলন করালেন র্যান্টিদের। তবে তাঁর দলেও ম্যাচ নিয়ে সেই উন্মাদনা কই? র্যান্টি সকালে সেবক ব্রিজ ঘুরলেন। কার্লোস প্র্যাক্টিসের সময়টুকু বাদে শুধু ঘুমোলেন। এলকো বলছিলেন, “আমরা টানা দশ ম্যাচ অপরাজিত। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও অপরাজিত থাকতে চাই।”
নিরুত্তাপ আবহাওয়ার মধ্যেই গোপনে অস্ত্রে শান দিচ্ছেন না তো দুই কোচ!
|
জনপ্রিয় ফুটবল র্যাঙ্কিং সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্স-এর তালিকায় এ বার ইস্টবেঙ্গল। ৪৪৭ নম্বরে কলকাতার ক্লাবটি রয়েছে মরক্কোর এএস ফার রাবাত, জাপানের ওমিয়া আরদিজা সাইতামা, হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট হনভেদ এফসি, বলিভিয়ার সিডি অরোরা কোশাবাম্বার সঙ্গে। গত বছরের ১ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফিফার সদস্য দেশগুলোর জাতীয় লিগের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই এই র্যাঙ্কিং। |