|
|
|
|
|
বিপর্যয় ভুলে ক্লার্কদের উপর
ভরসা রাখছেন মাইক হাসি সংবাদসংস্থা • মোহালি |
|
চেন্নাই, হায়দরাবাদে ভরাডুবির পর মোহালি কি ‘নতুন’ অস্ট্রেলিয়াকে দেখবে?
পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার কর্তার কথা ধরলে, সে সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার সচিব এম পি পাণ্ডব জানাচ্ছেন, অন্তত আগের দু’টেস্টের মতো একতরফা ক্রিকেট হয়তো মোহালিতে দেখা যাবে না। “মোহালির পিচ চেন্নাই বা হায়দরাবাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। দু’দলেরই এখান থেকে ফায়দা তোলার সুযোগ থাকছে। আশা করছি, প্রথম দুটো টেস্টের মতন এখানে অন্তত আর একটা একতরফা ম্যাচ দেখতে হবে না। সোজা কথায়, আমরা চাই একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হোক,” বলছেন পাণ্ডব। হাড্ডাহাড্ডি ক্রিকেট দেখার আশায় পিসিএ প্রেসিডেন্ট আই এস বিন্দ্রাও। বলেছেন, “আমাদের কিউরেটর এমন একটা পিচ বানিয়েছেন যেখানে দর্শক খেলা দেখে মজা পাবে। ক্রিকেটাররাও নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে।”
তবে প্রথম দুই টেস্টে অস্ট্রেলীয়দের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখে প্রাক্তন অজি তারকা ড্যামিয়েন মার্টিন চূড়ান্ত হতাশ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন দল নির্বাচন নিয়েও। ২০০৪-এ ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সেরা মার্টিনের পাল্টা প্রশ্ন, “স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা এই দলে কী করতে আছে? আর বাকি যারা খেলছে তারা কেউ কেউ ভাল ওয়ান ডে খেলে। কেউ কেউ টি-টোয়েন্টিতে ভাল। তার বেশি নয়।”
পরপর দু’টেস্টে বিপর্যয়ের পর অস্ট্রেলীয়দের অবস্থা এতটাই বেহাল যে, কেউ কেউ মাইক হাসিকে ফেরানোর পক্ষেও সওয়াল করছেন। সদ্য অবসর নেওয়া হাসি নিজে অবশ্য সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং তাঁর ভরসা আছে ক্লার্কের ক্রিকেটারদের উপর। বলছেন, “এই টিমের উপর আমাদের আস্থা রাখা উচিত। ওদের ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। অসুবিধা তো হবেই। আরও খেলিয়ে যেতে হবে।” সঙ্গে হাসি আরও যোগ করেছেন, “ভারতীয় পিচে যত বেশি খেলবে তত ওদের পক্ষে ভাল। তা ছাড়া সিরিজ তো শেষ হয়ে যায়নি। মানছি আমরা ০-২ পিছিয়ে আছি। কিন্তু এখনও শেষ বাকি দুটো টেস্টে ভাল কিছু করার সুযোগ আছে।”
আর যাঁর পরামর্শ অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বসেরা করেছিল বলে মনে করা হয়, সেই ডন আর্গাস আবার বলেছেন, তরুণ ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা অর্জনে, ভারত সবচেয়ে কঠিন জায়গা। বাকি ক্রিকেট বিশ্ব যা-ই বলুক, আর্গাস তাঁর দেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে মোটেই হতাশ নন। “ফুটবল বা ক্রিকেটে অনেকেই তাৎক্ষণিক সাফল্য দেখতে চায়। কিন্তু সবার বোঝা উচিত যে আমরা একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসছে। আমাদের উচিত আর একটু ধৈর্য ধরা,” বলেছেন আর্গাস।
এ দিকে, রাগবিতে সদ্য ড্রাগ কেলেঙ্কারির পর, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের সতর্ক করা হয়েছে ‘ফুড সাপ্লিমেন্ট’ নেওয়ার ক্ষেত্রে। “আমরা এই ব্যাপারটা নিয়ে সব সময় সতর্ক থাকি। খেয়াল রাখি আমাদের প্লেয়ারদের কি দরকার পড়ে, আর তাদের কি দেওয়া হয়”, জানালেন অস্ট্রেলিয়া টিমের ডাক্তার ব্রাকনার। |
|
|
|
|
|