চা দোকানেই রোজকার লড়াই স্বামীহারা অঞ্জনার
ট বছর আগের ওই দিনটার কথা মনে পড়লে এখনও শিউরে ওঠেন মেদিনীপুরের ছোটবাজারের বাসিন্দা অঞ্জনা রাণা। ২০০৪ সালের অক্টোবরের সেই দিনে ডেবরায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল স্বামী দেবীপ্রসাদ রাণার। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মুর্চ্ছা গিয়েছিলেন তিনি। একমাত্র ছেলে ইন্দ্রজিত্ তখন প্রথম শ্রেণির ছাত্র। কী ভাবে সংসার চলবে, ছেলের পড়াশোনারই বা কী হবে, প্রশ্নগুলো যেন সব সময়ই ঘুরপাক খাচ্ছিল।
তবে হাল ছাড়েননি তিনি। বরং, তা ধরেছিলেন আরও শক্ত হাতে।
দোকানে ভিড়। চা তৈরিতে ব্যস্ত অঞ্জনা রাণা। —নিজস্ব চিত্র।
স্বামীর মৃত্যু শোক কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সংসারের হাল ধরতে কোতয়ালি বাজারে এক চায়ের দোকান করেন। এখন চায়ের দোকান থেকে যা আয় হয়, তা দিয়েই সংসার চলে। পরিবারে সব মিলিয়ে রয়েছেন চার জন সদস্যা মা, ছেলে, শ্বাশুড়ি জ্যোত্স্নাদেবী এবং ননদের মেয়ে ঝুম্পা। মেদিনীপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ঝুম্পা পড়াশোনার জন্য মেদিনীপুরে থাকে। অন্যদিকে, ছেলে ইন্দ্রজিত্ এখন মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সংসারের হাল ধরতে অঞ্জনাদেবী যখন চা দোকান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন এগিয়ে এসেছিল কোতয়ালি বাজার কমিটি। ওই কমিটি তাঁকে এখনও সব রকম সহযোগিতা করে। তবে জ্যোত্স্নাদেবী এবং অঞ্জনাদেবী কেউই পান না বিধবা ভাতা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.