একশো দিনের কাজ প্রকল্পে গতি আনতে কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। এর পোশাকি নাম, রাজীব গাঁধী ভারত নির্মাণ সেবাকেন্দ্র। গোয়ালতোড়ে এমনই একটি কেন্দ্র চালু হল বৃহস্পতিবার থেকে। এই সেবাকেন্দ্র থেকে একশো দিনের প্রকল্পের যাবতীয় পরিকল্পনা ও কাজ দেখভাল করার কথা। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাস্তরে এই রকম কেন্দ্র তৈরি করার নির্দেশ রয়েছে। পঞ্চায়েত স্তরের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। আর পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ২৫ লক্ষ টাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতেই এই কেন্দ্র চালু হয়েছে। তবে পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে এই প্রথম এই সেবা কেন্দ্র চালু হল। গড়বেতা ২ ব্লক অর্থাত্ গোয়ালতোড়ে কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে বিডিও অফিস চত্বরেই। এ দিন এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত। গড়বেতা-২ ব্লকের বিডিও বিক্রম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ বার ওই কেন্দ্রেই একশো দিনের প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ও আধিকারিকেরা ওখানে বসবেন। ওখান থেকেই একশ দিনের কাজের প্রকল্পের পরিকল্পনা ও দেখভাল করা হবে।” ধীরে ধীরে জেলার ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতিতেই এরকম কেন্দ্র তৈরি করা হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
|
বাম ছাত্র-যুবর প্রতিবাদ মিছিল |
করণিক (গ্রুপ সি) নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের যে নতুন নির্দেশিকা বেরিয়েছে, তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরে মিছিল করেন বামপন্থী ছাত্র-যুবরা। এসএফআই, ডিওয়াইএফ-সহ বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মীরা মিছিলে পা মেলান। মিছিল থেকে ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পন্ডার বক্তব্য, “এমন নির্দেশিকার ফলে ছাত্র-যুবরা শঙ্কিত। রাজ্য সরকার কর্মচারীদের স্বার্থবিরোধী কাজ করছে। আসলে যাঁরা শাসকদলের তোষামোদ করতে পারবেন না, পরে তাঁদের ছাঁটাই করা হবে। সে জন্যই এই নির্দেশিকা।”
|
এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা-সহ বেশ কিছু দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটিতে মিছিল করে যুব তৃণমূল। যুব কর্মী-সমর্থকেরা এই মিছিলে যোগ দেন। গত মঙ্গলবার সকালে এই এলাকায় মাওবাদীদের নাম লেখা কিছু পোস্টার মেলে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পোস্টারের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগ নেই। স্থানীয় কিছু যুবক এ কাজ করে থাকতে পারে। তৃণমূলের অভিযোগ, এর সঙ্গে সিপিএম জড়িত। আর সিপিএমের মতে, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা। এই চাপানউতোরের মধ্যেই মিছিল করল যুব তৃণমূল।
|
জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর এবং ভাদুতলা বিবেকানন্দ হাইস্কুলের যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠান হয়। স্কুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত ‘স্বদেশ এবং স্বজন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কৌশিক নন্দী, স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী, সঙ্গীতশিল্পী অলোকবরণ মাইতি প্রমুখ। ‘মাতৃবন্দনা’, ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাস’-সহ তিনটি পর্যায়ে অনুষ্ঠান হয়। ছাত্রছাত্রীদের উত্সাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। |