নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনের এক চিঠির প্রেক্ষিতে শোরগোল পড়েছে আইআইটিতে। তদন্তও শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁরা ২৩ মার্চ পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করবেন। খড়্গপুর আইআইটি’র ডিরেক্টর শঙ্করকুমার সোম বলেন, “কমিশনের চিঠি আমরা পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।”
আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ২০০১ সালে খড়্গপুর আইআইটি ‘কোলনেট’ নামে একটি প্রকল্পে কাজ করেছিল। ওই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ৯ কোটি টাকা। ওই কাজে যুক্ত ছিলেন আইআইটির তিন অধ্যাপক অনিলকুমার ভৌমিক, রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী। অনিলবাবু এখন পটনা আইআইটির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। বাকি দু’জন খড়্গপুরেই আছেন। এই প্রকল্পের কাজে একটি প্রতিষ্ঠিত সংস্থার সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। পরে তা নিয়েই অভিযোগ ওঠে। তদন্ত করে সিবিআই। তদন্তে নামে সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনও। অভিযোগ, ওই প্রকল্পের কাজে ‘আউট সোর্সিং’ করা হয়েছে। অথচ শর্তই ছিল, কোনও ভাবে ‘আউট সোসির্ং’ করা যাবে না। |
এ নিয়েই গত সোমবার ভিজিলেন্স কমিশনের একটি চিঠি এসে পৌঁছয় খড়্গপুর আইআইটি’তে। আইআইটি কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, আগেও এমন চিঠি এসেছে। তা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। কোথাও কারও গাফিলতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন খড়্গপুর আইআইটি’র ডিরেক্টর। তাঁর দাবি, “কোনও রকম আউট সোর্সিং হয়নি। ওই প্রকল্পের কাজের জন্য একটি সংস্থার কাছ থেকে কর্মী নিতে হয়েছিল। আমরা দেখেছি, এই সিদ্ধান্ত কেউ একা নেননি।” কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অভিযোগ থাকলেই দোষ প্রমাণিত হয় না। বিষয়টি নিয়ে আগেও দু’টি বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, এ নিয়ে যা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। তবে ভিজিলেন্স কমিশনের চিঠি নিয়ে পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হবে বলে ডিরেক্টর জানিয়েছেন। |