|
|
|
|
দলের প্রতি মানিকের সতর্কবার্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
বসন্তে লাল আবিরের উৎসবে রাজ্যবাসী মেতে উঠলেও, ‘দম্ভ, অহমিকা’-য় যেন দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকরা ভেসে না যান, তার জন্য তাদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। রাজ্যে সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার গঠিত হওয়ার পর আজ শহরের আস্তাবল ময়দানে, অধুনা বিবেকানন্দ স্টেডিয়ামে ছিল বামফ্রন্টের বিজয় উৎসব। মাইক, মাদল, ব্যান্ড, খোল-কীর্তনের সঙ্গতে বাম কর্মী-সমর্থকরা আস্তাবল মাঠ এবং সংলগ্ন রাস্তায় মেতে উঠেছিলেন বিজয় উৎসবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার কর্মী-সমর্থকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘‘এ রাজ্যের গণতন্ত্রের উৎসবকে সারা ভারত আজ দেখছে।’’ বিজয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। ছিলেন সিপিআই, আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা। ছিলেন সপ্তম বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্যরা। |
ত্রিপুরায় বামফ্রন্টের বিজয়োৎসবে খোশ মেজাজে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট ও
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। আগরতলার বিবেকানন্দ স্টেডিয়ামে। ছবি: উমাশঙ্কর রায়চৌধুরী |
মানিকবাবু বলেন, “শান্তি, সম্প্রীতি, গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে, রাজ্যের উন্নয়নের ধারাকে আরও সম্প্রাসারিত করতে, উন্নত ত্রিপুরাকে উন্নততর করতে নির্বাচনের প্রাক্কালে আহ্বান জানায় রাজ্যের বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। সেই ডাকে মানুষ সাড়া দিয়েছে।” তবে পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে বাম জোট পেয়েছে মোট ৪৭ শতাংশ ভোট। আর বিরোধী কংগ্রেস জোট পেয়েছে রাজ্যের ৪৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন। জনগণের একটা বিশাল অংশ বামফ্রন্টের প্রতি ‘বিমুখ’ কেন, উৎসবের দিনে এই নির্মম প্রশ্নের মুখোমুখি দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের দাঁড় করিয়েছেন মানিকবাবু। তাঁর পরামর্শ, ‘যুক্তি, তথ্য এবং বিনয়ের’ সঙ্গে এই ‘বিরোধিতা’-র মোকাবিলা করুক দল। |
|
|
|
|
|