|
|
|
|
রেল বাজেট |
বাংলার বঞ্চনা নিয়ে মুখ খুলল তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সরাসরি টিকিটের দাম বাড়ানোর সাহস তিনি দেখাতে পারেননি। কিন্তু ঘুরপথে সংরক্ষণ মাসুল বাড়িয়ে যাত্রিভাড়া বাড়ানোর পথে হেঁটেছেন রেলমন্ত্রী পবন বনশল। বিজেপি থেকে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি থেকে আরজেডি প্রায় সব দলই আজ রেল বাজেট-বিতর্কে যোগ দিয়ে সরকারের ওই পরোক্ষ ভাড়া বাড়ানোর নীতির সমালোচনায় সরব হল।
শুধু যাত্রিভাড়া নয়, আগামী মাস থেকে পণ্য মাসুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার মূল্যবৃদ্ধির পথ আরও প্রশস্ত করল বলেও অভিযোগ তোলেন বিরোধী সাংসদেরা। বাজেটের দিনই বাংলার প্রকল্পগুলিতে পর্যাপ্ত অর্থ মেলেনি বলে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সাংসদরা। আজ বাংলার বঞ্চনার বিষয়টি বলতে গিয়ে সামগ্রিক ভাবে মেদিনীপুরের প্রকল্পগুলি কী ভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তা তুলে ধরেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, “নন্দকুমার-ময়না, ভাদুতলা-ঝাড়গ্রাম রেল প্রকল্পে সেই অর্থে টাকা দেয়নি মন্ত্রক। আর দিলেও তা খুব সামান্য। হলদিয়ার রেল কারখানা বা জেলিংহামের শিল্প পার্কটি নেকনজর থেকে বঞ্চিত হয়েছে।” এ ছাড়া কলকাতা মেট্রোয় যে ভাবে বরাদ্দ কমানো হয়েছে তাতে ওই প্রকল্পের অগ্রগতি থমকে যাবে বলেও দাবি করেন ওই সাংসদ।
ভবিষ্যতে ডিজেলের দাম বাড়ার অনুপাতে পণ্য পরিবহণের মাসুল বৃদ্ধি পাবে বলে ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী। এর ফলে ফের একপ্রস্ত মূল্যবৃদ্ধি হতে চলেছে বলে আজ অভিযোগ করেন এসইউসিআই সাংসদ তরুণ মণ্ডল। বলেন, “নিজেদের ক্ষতি সামলাতে সাধারণ মানুষের উপর ফের বাড়তি বোঝা চাপাতে চাইছে রেল। আয়ের অন্য পথগুলি খতিয়ে দেখছে না মন্ত্রক।” বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “পরোক্ষে সংরক্ষণ মাসুল বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের অর্থ লুঠ করছে মন্ত্রক।” রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামিকাল বিরোধীদের এই সব অভিযোগের জবাব দিতে পারেন পবন বনশল। |
|
|
|
|
|