|
|
|
|
রাজা ভাইয়ার নামে খুনের অভিযোগ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বুধবার রাতেই উত্তরপ্রদেশের ডিএসপি হত্যার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কুন্দার নির্দল বিধায়ক রঘুরাজপ্রতাপ সিংহ ওরফে রাজা ভাইয়ার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
গত শনিবার কুন্দার বালিপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত ঝামেলা মেটাতে গিয়ে খুন হন প্রতাপগড়ের ডিএসপি জিয়া-উল-হক। গোটা ঘটনা রাজা ভাইয়ার নির্দেশে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহত ডিএসপি-র স্ত্রী পরভিন আজাদ। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক ভাবে রাজা ভাইয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কিন্তু এই ক’দিনে আটক বা গ্রেফতার করা তো দূর, এক বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও ডাকা হয়নি রাজা ভাইয়াকে। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। অখিলেশের নির্দেশে রাজা ভাইয়া মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেও, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্নেই হইচই পড়ে গিয়েছে সারা দেশে। কিন্তু সিবিআই আজ রাজা ভাইয়ার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনায় মনে করা হচ্ছে এ বার শীঘ্রই জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হবে রাজা ভাইয়াকে। সূত্রের খবর, ডিএসপি খুনের ঘটনায় যে দুই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, সেই রাজীব সিংহ ও সঞ্জয় সিংহকেও নিজেদের হেফাজতে নিতে চলেছে সিবিআই। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে। গোটা ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।
এরই মধ্যে নিহত ডিএসপি-র মরণোত্তর পদোন্নতির দাবি করেছেন স্ত্রী পরভিন। তিনি চান, তাঁর স্বামীকে সাহসিকতার পুরস্কারেও ভূষিত করা হোক। সূত্রের খবর, শনিবার যে পুলিশকর্মীরা ডিএসপি হককে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান, তাঁদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। অভিযোগ, বালিপুর গ্রামে শনিবার যখন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ডিএসপি-কে ঘেরাও করেছিল, তখন তাঁর সঙ্গে আসা বাকি ছ’জন পুলিশ পালিয়ে যান। ঘটনাটি শোনার পরই ওই পুলিশকর্মীদের ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। |
|
|
|
|
|