|
|
|
|
ছাত্রভোট চেয়ে রাতভর উপাচার্য ঘেরাও যাদবপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
গার্ডেনরিচের গোলমালের পরে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্রভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ বেশ কয়েক জন কর্তাকে বৃহস্পতিবার রাতভর ঘেরাও করে রাখলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তার আগেই অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ছাত্রভোটের অনুমতি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি লেখা হবে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের তরফে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে নির্বাচনের নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না-পাওয়া পর্যন্ত ঘেরাও-আন্দোলন চলবে। আর উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, আপাতত কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই ছাত্র সংসদের নির্বাচন করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
১২ ফেব্রুয়ারি গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে গোলমাল হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এক সাব-ইনস্পেক্টর। সেই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে রাজ্য সরকার নির্দেশ দেয়, আপাতত সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট স্থগিত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে যে-সব ছাত্র সংসদের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে, সেখানে প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব নিয়মে বিকল্প কোনও বন্দোবস্ত করতে পারে। তবে কোনও অবস্থাতেই নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এসএফআই, ডিএসও, আইসি-সহ বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে।
এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা নিয়ে এ দিন বৈঠকে বসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী উপদেষ্টা কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সেখানকার নিয়মে প্রতি বছর ৩১ মার্চের মধ্যে ছাত্রভোট সেরে ফেলতে হবে। তা না-হলে কিছু দিনের জন্য বর্তমান সংসদের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। তবে তা বেশি দিনের জন্য সম্ভব নয়। তাই নির্বাচন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এই সব বিষয় জানিয়ে এবং দ্রুত ছাত্র সংসদের নির্বাচন করার অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ এ দিন বলেন, “প্রাথমিক ভাবে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।”
কিন্তু রাতে ঘেরাওয়ে বসা পড়ুয়ারা বলেন, “চিঠি পাঠানোর কথা হলেও এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দিষ্ট আশ্বাস মেলেনি।” প্রদীপবাবুর বক্তব্য, উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে প্রতিটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গেই পৃথক ভাবে আলোচনা হয়েছে। ওদের মতামতের ভিত্তিতেই সরকারের কাছে নির্বাচন করতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে। “তার পরেও এ ধরনের আন্দোলন দুর্ভাগ্যজনক,” মন্তব্য রেজিস্ট্রারের। |
|
|
|
|
|